ইনোসেন্স অব মুসলিমস --- নামের ওটা কোন চলচিত্র হতে পারেনা, ওটা একটা অপ-ডকুমেন্টারী বলা যেতে পারে। যা স্পষ্টতই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত । আমাদের ইসলাম ধর্মের পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে হেয় করে বিদ্বেষ এবং সন্ত্রাস ছড়ানোই যে ঐ অপ-ডকুমেন্টারিটির উদ্দেশ্য সেটা স্পষ্ট হলো ওটার ১৪ মিনিটের ইউটিউব টেলর দেখার মত দুর্ভাগ্য হবার পর।
ওটার পরিচালক একজন গোঁড়া ক্রিশ্চিয়ান হয়ে অন্য ধর্মের প্রতি যে কটাক্ষ দেখিয়েছেন তা ন্যাক্কারজনক। একটা ধর্মীয় গোষ্ঠীর অনুভূতিকে এভাবে হীন মিথ্যাচার এবং কদর্যতার উত্তেজিত করে তোলা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদ। সে কারনেই এটাকে খুবই স্পষ্টত উদ্দেশ্য প্রবণ মনে হয়। উইকিপিডিয়ার তথ্যগুলো পড়লে দেখা যায় এটার প্রচার তেমন ভাবে পাবলিক সম্মুখে করা হয়নি সুচতুরতার কারনে। সামন্য ক’জনার সামেন একটা শো করে পরে বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং করে অনলাইনে ছড়ানো হয়েছে। যার পেছেন সহিংসতা ছড়ানোর একটা অপ কৌশলের গন্ধ পাওয়া যায়।
পৃথিবীর কোনো ইতিহাসেই মহানবী (সাঃ)কে ঐ সকল দোষে মিথ্যাভাবে দোষারোপ করেছে বলে মনে হয়না যা ঐ অপ-ডকুমেন্টারীতে করা হয়েছে। যে কোন নাম মাত্র মুসলমানও মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি এ সব মিথ্যাচার দেখে ক্রোধান্বিত, লজ্জিত এবং কষ্টে ক্লীষ্ট না হওয়ার কোন কারনই নেই। মোহাম্মদ (সাঃ) পৃথিবীর ইতিহাসে এক মহান মানব যা শুধু মুসলমানরা নই অন্য ধর্মের পণ্ডিত ব্যক্তিরাও স্বীকার করেছেন বারংবার।
তাহলে তো স্পষ্টই বোঝা যায় পৃথিবীর চলমান সন্ত্রাস আর উত্তেজনায় আরেকটু চরম উষ্কানী যোগানোর উদ্দেশ্যেই এমনতর কর্মটি সম্ভবত নকুলা নামের ব্যক্তিটি করে থাকবে। নকুলা নামের ব্যক্তিটির এ হেন হীন কর্মের জন্য তার প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাই।
সাথে সাথে আমার শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী এবং পালকদের প্রতিও আশা থেকে যায় অসহিংসতার মাধ্যমে এই হীন অপকর্মের যাতে সঠিক প্রতিবাদ ও প্রতিকার হয়। কোন নিরীহ মানুষ যেন প্রতিবাদের কারনে শাস্তি না পায়।
মুক্ত ইন্টারনেটের যুগে এই অপ -ডকুমেন্টারীর প্রচার ঠেকানো আসলেই কঠিন। ইউটিউব এ ফায়ার অল বসিয়েই কি আর ঢোকা বন্ধ করা যায়! তবুও আসলে সকলের এটা না দেখাই ভালো কারন আমার মনে হয়েছে ওটা সত্যিই ভায়োলেন্স এবং মিথ্যাচার ছড়ানোর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।