somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প ঃ দিপালী

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাড়ির কাছেই একটি হাই স্কুলে পড়তেছিলাম। পরের বছর সেই স্কুল ছেড়ে থানা সদর হাইস্কুলে গিয়ে ভর্তি হলাম। কিছুদিন ক্লাস করার পর ২৬শে মার্চ এলো। স্কুলে সারাদিন নানা ধরণের খেলাধুলার প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। বিকালে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান দেখার জন্য বসে আছি। স্কুলের শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ২৬শে মার্চ সম্পর্কে বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলো।
প্রথমেই স্কুলের ছাত্রদের ভিতর থেকে দু’জন গান গাওয়ার পর মাইকে ঘোষণা করা হলো, এবার গান গাবে শ্রীমতি দিপালী রানী পাল।
দিপালী আমাদের ক্লাসের ছাত্রী। শ্যামলা গায়ের রং। দেখতে হালকা পাতলা। ডান গালে নীচের দিকে একটা তিল আছে। গালে তিল এবং পটল চেরা চোখ দুটোর কারণে মোটামুটি সুন্দরী বলা চলে। দিপালী মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে গানটি গাইলো তা সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। প্রথম থেকেই সে করুণ সুরে গাইতেছিল---

যুদ্ধ থেকে সবাই এলো তুমি বাবা এলে না
সারা বাংলায় খুঁজে তোমায় আজো দেখা পেলাম না।

কোথায় আছ কেমন আছ জানতে বড় ইচ্ছে হয়
চন্দ্র তারার মাঝে আমি চেয়ে থাকি রাত্রিময়
তোমায় ছাড়া বাবা আমায় কেউ তো ভালবাসে না

যদি একবার দেখে যেতে কেমন আছি সুখে
তোমায় না পেয়ে বাবা কাঁদি কত দুখে
স্বাধীন বাংলায় এখন আমার পিতৃহারা ঠিকানা
(চোরের ভয়ে গানটি সংক্ষিপ্ত করে দিলাম)

এতোটুকু গাওয়ার পর আর গাইতে পারল না। গান গওয়া অবস্থায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। আমাদের স্কুলের হিন্দু পন্ডিত স্যার ওকে কান্না অবস্থায় ধরে মঞ্চ থেকে নিয়ে গেল। তখনও বুঝতে পারিনি দিপালীর কান্নার কারণ।
২৬শে মার্চের পরে দিপালী দু’দিন স্কুলে আসেনি। দু’দিন পরে স্কুলে এলে ক্লাসের পড়া না পারায় বাংলা স্যার রেগে গিয়ে ওর ডান হাতে দু’টি বেত মারল। দুই বেত খেয়েই ও ভ্যা করে কেঁদে দিল। ওর ভ্যা ভ্যা কান্না দেখে আমার পক্ষে হাসি চেপে রাখা সম্ভব হলো না। সামনের বেঞ্চিতেই বসা ছিলাম। হো হো করে হেসে উঠলাম। হো হো করে হেসে উঠায় বাংলা স্যার আমাকেও দু’টি বেত মারল। বিনা করণে বেত খেয়ে চুপ হয়ে গেলাম। ক্লাস শেষে বাম হাতের সার্টের হাতা উঠিয়ে দেখি দু’টি বেতের আঘাতই লম্বা লম্বা হয়ে ফুলে আছে। ব্যাথায় হাত টনটন করছে। থুথু দিয়ে অনেক ডলাডলির পরও ব্যাথা গেল না।
দুপুরে টিফিনের সময় বাজারে গিয়েছি। স্কুল থেকে বাজার অল্প দুরে। বাজারে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পার্শ্বে দুটি পুকুর আছে। পুকুর পাড়ে ঘরবাড়ি না থাকায় রাস্তাটুকু ফাঁকা। বাজার থেকে স্কুলে ফেরার পথে দেখি দিপালী একা একা বইখাতা নিয়ে বাসা থেকে ফিরছে। ফাঁকা রাস্তায় একা পেয়ে ওকে বললাম, কিরে দিপালী, হারামজাদী তোর জন্য স্যারের হাতে মার খেলাম।
ও চটাং করে ক্ষেপে গিয়ে বলল, এই, তুই আমাকে হারামজাদী বললি কেন রে?
-- বলবো না, তোর জন্যই তো মার খেলাম।
-- আমি কি স্যারকে মারতে বলেছি?
-- তুই স্যারকে না বললে কি হবে-- তোর ভ্যা ভ্যা করে কান্না দেখেই তো আমি হো হো করে হেসে উঠেছিলাম। তুই না কাঁদলে তো আমি হো হো করে হাসতাম না, স্যারের হাতে মারও খেতাম না।
-- ওই হারামজাদা, আমি এমনি এমনি কেঁদেছি রে। ব্যাথা পেয়েছি দেখেই তো কেঁদেছি। আমার মতো স্যার তোকে দু’টা পেটন দিত, তাহলে তুইও বুঝতি।
-- তুই কি মনে করেছিস আমাকে স্যার আস্তে পেটন দিয়েছে? তোর চেয়েও আমাকে জোরে পেটন দিয়েছে। এই দেখ, বলেই আমি হাফ সার্টের হাতা তুলে বাম হাতের ডানা দেখালাম। তখনও বেতের দাগ লাল হয়ে ফুলে আছে। দিপালী আমার হাতের ফুলে যাওয়া লম্বা লম্বা দাগ দেখে মাথা নিচু করে বলল, ভাল করেছে।
ওর কথা শুনে মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেল। যার কান্না দেখে হাসতে গিয়ে মার খেলাম সেই বলে কিনা ভাল হয়েছে। কিছুটা রেগে গিয়েই বললাম, ওই হারামজাদী, আমার ব্যাথায় হাত টনটন করছে আর তুই বলছিস ভাল করেছে।
সাথেই সাথেই ও ঝামটা মেরে উঠল, তুই আবার আমাকে হারামজাদী বললি কেন রে?
-- বলবো না, আমার হাত ফুলে গেছে আর তুই বলিস কিনা ভাল হয়েছে।
-- তোর হাত ফুলে গেছে তো আমি এখন কি করবো। তোর হাতে কি তেল মালিশ করে দেব?
-- আমি কি তোকে বলেছি তেল মালিশ করতে?
-- তাহলে তুই আমাকে হাত দেখাচ্ছিস কেন?
আমি কি যেন বলতে যাবো এমন সময় সামনে চোখ যেতেই দেখি অংক স্যার আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের কাছে এসে ধমক দিয়ে লম্বা লম্বা সুরে বলল, কি রে--, তোরা দুইজনে এখানে দাঁড়িয়ে কি কথা বলছিস, হা--।
আমি কিছু বলার আগেই দিপালী বলল, না স্যার তেমন কিছু না, আমি দু’দিন ক্লাসে আসি নাই তো তাই ওর কাছে ক্লাসের পড়া জিজ্ঞেস করছি।
-- তোমার ক্লাসে তো আরো মেয়েরা আছে, তাদের জিজ্ঞেস করা বাদ দিয়ে ওকে জিজ্ঞেস করছো কেন? হা--
স্যারের সন্দেহমুলক কথা শুনে মাথা নিচু করে দাঁড়ালাম। আড়চোখে তাকিয়ে দেখি দিপালীও মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের কাচুমাচু ভাব দেখে স্যার ধমক দিয়ে বলল, আর কখনও যেন রাস্তায় কথা বলতে না দেখি। দেখলে বেতিয়ে পিঠের চামড়া তুলে ফেলবো। কথা না বলে সোজ ক্লাসে চলে যাও। বলেই রাম ধমক দিয়ে বলল, যাও-- -
স্যারের দিকে আর চোখ তুলে তাকানোর সাহস হলো না। শাসানো ধমক খেয়ে কেউ কোন কথা বললাম না। চোরের মত মাথা নিচু করে সোজা ক্লাসে গিয়ে বসলাম। দিপালী মেয়েদের কমন রুমে চলে গেল। এর পরে স্যারের ভয়ে কিছু দিন কেউ কারো দিকে তাকানোর সাহসই পাইনি।
কযেকদিন পরে সকাল বেলা ক্লাসে বই রেখে আমি বাজারের দিকে খাতা কিনতে যাচ্ছি। বাজারের ভিতর থেকে দিপালী একা একা স্কুলের দিকে আসতেছে। পুকুর পাড়ে এলে ওর মুখোমুখি হলাম। মুখ নড়াচড়া করতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, কিরে দিপালী, কি খাচ্ছিস?
-- বড়ই। খবি?
-- দে।
দিপালী আমার হাতে তিনটি বড়ই দিলে আমি ওকে কিছুটা ধমক দিয়েই বললাম, এই হারামজাদী, মাত্র তিনটা বড়ই দিলি?
দিপালীও আমাকে পাল্টা ধমক দিয়ে বলল, আরে হারামজাদা আছেই তো তিনটা, তোকে চারটা দিব কোত্থেকে?
-- তিনটাই দিয়ে দিলি, তুই খাবি না?
-- আমি অনেকগুলা খেয়েছি, ও তিনটা তুই খা।
-- ঠিক আছে তাহলে তিনটাই খাই, বলেই বড়ই তিনটা হাতে নিয়ে খেতে খেতে বাজারে গেলাম।
বাজার থেকে ফিরে এসে যথারীতি ক্লাস করে বাড়ি চলে এলাম। ওর সাথে আর কোন কথা হলো না। পর দিন বাজারের পূর্ব পার্শ্বের রাস্তা দিয়ে একা একা স্কুলে যাচ্ছি। রাস্তাটি উত্তর পাশের পাকা রাস্তা থেকে শুরু হয়ে রেল লাইনে গিয়ে উঠেছে। রেল লাইন দিয়ে হেঁটে কিছুটা পশ্চিম দিকে গিয়ে দক্ষিণে গেলেই স্কুল। প্রয়োজন ছাড়া বিনা কারণে এই রাস্তায় কেউ হাঁটে না। একে তো এবরো থেবরো মাটির রাস্তা তারোপর আগাছায় ভরা। চলতে গিয়ে সতর্ক না হলে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। রাস্তার এ্যাবরো থেবরো অংশ পার হয়ে সদ্য নির্মিত ইউনিয়ন কাউন্সিলের জানালা দরজা বিহীন বিল্ডিংয়ের কাছে আসতেই মানব বিষ্ঠার দুর্গন্ধে নাড়িভুড়ি উল্টে আসার অবস্থা। ফাঁকা জায়গায় কোনও পাহাড়াদার বা মানুষের বসবাস না থাকায় বিল্ডিংটি অনেকের কাছে নিরাপদ টয়লেট হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। বুঝতে পেলাম এই বিল্ডিংয়ের দুর্গন্ধের কারণেই মানুষ এই রাস্তায় আসা যাওয়া করে না। নাক মুখ চেপে ধরে কিছুদুর যেতেই পিছন থেকে ‘এই হারামজাদা’ বলে কে যেন ডাক দিল। প্রথম ডাকে বুঝতে পারিনি, মনে করেছি কোন মহিলা হয়তো তার ছেলেপেলেদের গালি দিয়ে ডাকছে। তিনবার ডাক দেয়ার পর পিছন ফিরে তাকালাম। তাকিয়ে দেখি দিপালী বই খাতা নিয়ে আমার পিছনে পিছনে আসছে। ওকে দেখে দাঁড়ালাম। কাছে আসতেই বললাম, এই হারামজাদী, তুই এ রাস্তায় কোত্থেকে এলি রে?
আমার মতই ও ঝামটা দিয়ে মুখটা উপর নিচে নাড়িয়ে বলল, এই হারামজাদা, তুই কেমন করে এই রাস্তায় আসলি রে?
-- আমি তো বাড়ি থেকে এলাম রে।
-- আমিও তো বাড়ি থেকে এলাম রে।
-- তোর বাড়ি তো আমি জানি বাজারে।
-- বাজারে কি বাড়ি থাকে রে-- বাজারে দোকানপাট থাকে, আমার বাড়ি বাজারের পূর্ব পার্শ্বে ঠিক বাজারে নয় রে।
আমার সাথে সাথে ও একই স্টাইলে রে রে করে উত্তর দেয়ায় ব্যাঙ্গাত্মক আক্রমণ মনে করে ধমক দিয়ে বললাম, এই হারামজাদি, আমার সাথে সাথে তুই রে রে করছিস কেন রে?
আমার মতই ও হাত নেড়ে নেড়ে বলল, ওই হারামজাদা, তুই যে ভাবে কথা বলছিস আমাকেও তো সেই ভাবেই জবাব দিতে হবে রে, তা না হলে কথার উত্তর মিলবে কি করে রে?
ওর উত্তর শুনে বুঝতে পারলাম রে রে করে কথা বললে ও নিজেকে অপমানবোধ করে, তাই কথার স্টাইল রে রে পরিবর্তন করে বললাম, তুই তো বাজারের ভিতর দিয়েই সবসময় চলা ফেরা করিস, আজ আবার এ রাস্তায় এলি কেন?
-- তোকে দেখেই তো এলাম।
-- কেন?
-- বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছি এমন সময় পূর্ব দিকে তাকিয়ে দেখি তুই এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিস, তাই বাজারের ভিতরে না গিয়ে এই রাস্তায় এলাম।
-- যদি অঙ্ক স্যার দেখে তাহলে তো দুইজনকেই বেত মারবে রে?
-- এ রাস্তায় অঙ্ক স্যার আসবে কি করতে রে? বলেই কাগজের ঠোঙা থেকে এক মুঠো বড়ই বের করে আমার হাতে দিল।
আমি বড়ই হাতে নিয়ে বললাম, এত বড়ই এনেছিস কেন রে, কাকে দিবি?
-- ক্লাসের মেয়েরা আছে না, নিয়ে যাওয়ার সাথেই হুড়োহুড়ি করে খাবে।
আমরা যখন বড়ই নিয়ে কথা বলছি তখন রাস্তার পাশ থেকে এক মহিলা দু’টি ছাগলের রসি ধরে ঘাস খাওয়াচ্ছিল। ছগলের রসি হাতে ধরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থেকে বলল, দিপালী কি স্কুলে যাচ্ছিস?
-- জী কাকী।
-- ছেলেটি কে রে দিপালী?
-- আমাদের ক্লাসে পড়ে?
-- ছেলেটি বুঝি তোর কাছে বড়ই চেয়েছে?
মহিলার কথা শুনে দীপালি কপাল ভাজ করে মানুষ অনিচ্ছা সত্বেও কোন কাজ করলে বিরুক্তি প্রকাশ করে যেভাবে কথা বলে তেমনই ভাব ধরে বলল -- বলেন না কাকী, সেদিন স্কুলে ওকে বড়ই দেইনি দেখে আমাকে গালাগালি করেছে। এই জন্য ওকে আইজ বেশি করে বড়ই দিলাম। বাকীগুলো স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য নিয়েছি।
ওর বিরুক্তিভাব ধরে কথা বলায় নিজেকে হেয় ভাবতে লাগলাম। ওর কথা শেষ হতে না হতেই লড়াই করা মোরগের মত খ্যাচা ধরে উঠলাম, ওই হারামজাদী, তোকে কখন গাল দিলাম?
-- ওই হারামজাদা এই তো তুই এখনও আমাকে গাল দিলি।
-- কই গাল দিলাম?
-- হারামজাদী বললি এটা কি গাল না?
-- ও তো কথার কথা বললাম।
-- তোর কাছে কথার কথা হলেও আমার কাছে গালি।
এ কথা শুনে আমি হাত থেকে বড়ইগুলো রাস্তায় ফেলে দিয়ে বললাম, যা হারামজাদী তোর বড়ই খাবো না।
আমার বড়ই ফেলে দেয়া দেখে দিপালী রাগে বড় বড় চোখ করে তাকালো। ও রাগলে যে মুখের মিস্টি চেহারা তেতো হয়ে যায় এটা এই প্রথম দেখলাম। আমাদের দুইজনের খুনসুটি দেখে মহিলা এগিয়ে এসে রাস্তা থেকে বড়ই গুলো কুড়িয়ে দিপালীর হাতে দিতে দিতে বলল, তোমরা ঝগড়া করো না তো বাপু। এই নাও, বড়ইগুলো খেতে খেতে স্কুলে চলে যাও। মহিলা আমাকে বড়ই দিতেছিল, আমি বড়ই না নিয়ে বললাম, কাকী আমার ভাগেরটা আপনি খান, আমি ওর বড়ই খাবো না।
মহিলা বলল, কেন বাবা, তুমি কি দিপালীর উপর রাগ করেছো?
রাগ করবো না, দেখেন না কাকী, দু’টা বড়ই হাতে দিয়ে কি রকম খোটা মারা কথা বলল, আমাদের বাড়ি কি বড়ই গাছ নাই? আমরা কি বড়ই খাইনা?
মহিলা দরদের সুরে বলল, আরে বাবা এক সাথে লেখাপড়া কর সবাই মিলে মিশে চলবে, সামান্য বড়ই নিয়ে এরকম ঝগড়া করতে আছে। বলেই বড়ই দেয়ার জন্য আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। মহিলার অনুরোধে দু’টি বড়ই নিয়ে বাকিগুলো মহিলাকে দিয়ে দিলাম। আমি আর কোন কথা না বলে স্কুলের দিকে রওনা হলাম। দিপালী আমার পিছনে পিছনে স্কুলে এলো। আসার সময় আমার কাছাকাছি এসে দাঁতমুখ চিপে ধরে রাগত স্বরে বলল, হারামজাদা কিছুই বোঝে না, মহিলার সামনে আমাকে অপমান করল। আমার বড়ই দেয়াটাই ভুল হয়েছে।
দীপালির কথা আমার কানে আসলেও কোন কথা বললাম না। তবে ওর মুখের অবস্থা দেখার জন্য একবার তাকালাম। দীপালি মুখটা গোমড়া করে আমার পিছনে পিছনে আসতেছে আর বিড়বিড় করে কি যেন বলছে, অস্পষ্ট শব্দ কানে এলেও কথাগুলোর স্পষ্ট উচ্চারণ আমার কানে এলো না। তবে বড়ই ফেলে দেয়ায় দীপালী যে ক্ষেপে গেছে সেটা ওর বিড়বিড় শব্দ শুনে বুঝতে পেলাম।

চলবে--
(ছবি ইন্টারনেট)

পরের পর্ব পড়ার জন্য নিচে ক্লিক করুন
গল্প ঃ দিপালী (২)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১২
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দেশনায়ক তারেক রহমানকে সম্পৃক্ত করার নেপথ্যে  

লিখেছেন এম টি উল্লাহ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮


আগেই বলেছি ওয়ান ইলেভেনের সরকার এবং আওয়ামীলীগের যবনায় জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পৌনে একশ মামলা হলেও মূলত অভিযোগ দুইটি। প্রথমত, ওই সময়ে এই প্রজন্মের নিকট উপস্থাপন করা হয়েছিল দেশনায়ক তারেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পকে নিয়ে ব্লগারদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



**** এডমিন টিমের ব্লগারেরা আমাকে বরাবরের মতোই টার্গেট করে চলেছে, এভাবেই সামু চলবে। ****

ট্রাম্পের বিজয়ে ইউরোপের লোকজন আমেরিকানদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী শংকিত; ট্রাম্প কিভাবে আচরণ করবে ইউরোপিয়ানরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পের বিজয়, বিশ্ব রাজনীতি এবং বাংলাদেশ প্রসংগ

লিখেছেন সরলপাঠ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশে বা দেশের বাহিরে যে সব বাংলাদশীরা উল্লাস করছেন বা কমলার হেরে যাওয়াতে যারা মিম বানাচ্ছেন, তারাই বিগত দিনের বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টের সহযোগী। তারা আশায় আছেন ট্রাম্প তাদের ফ্যাসিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠেলার নাম বাবাজী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩১

এক গ্রামীণ কৃষক জমিদার বাড়িতে খাজনা দিতে যাবে। লোকটি ছিলো ঠোটকাটা যখন তখন বেফাস কথা বা অপ্রিয় বাক্য উচ্চারণ করে ক্যাচাল বাধিয়ে ফেলতে সে ছিলো মহাউস্তাদ। এ জন্য তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×