কবি দার্শনিক খলিল জিবরান অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প বলেছেন তাঁর লেখায় । গল্প গুলো খুব ছোট কিন্তু অসাধারন। তাঁর বড় কোন গলপ নেই, যা দিয়ে ফিল্ম বানানো যায় । কিন্তু তাঁর এই অসাধারন সুন্দর গল্পের কোন তুলনা নেই ইতিহাসে। কয়েক লাইনের মাঝে মানব জীবনের বিস্ময়কর অনাবিষ্কৃত সত্যকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর কোন জুড়ি নেই । তেমনি একটি গল্প -সুন্দর আর অসুন্দর কে নিয়ে - ইশ্বর জগত সৃষ্টি করার পর যা যা সেখানে দরকার বাকি সব সৃষ্টি করলেন। এরপর তিনি চারদিকে ঘুরে ফিরে দেখলেন। কি যেন নাই নাই মনে হল তার । শেষে বুঝতে পারলেন ঈশ্বর , সুন্দর এবং অসুন্দর- এ দুটো তার বানানো হয়নি । তাই, পরিশেষে এ দুটোও তিনি বানালেন । এবং উভয়ের জন্যে সেরকম দুটো পোশাকও বানালেন। সুন্দর পোশাক টা সুন্দরকে আর অসুন্দর পোশাক টা অসুন্দরকে পরিয়ে দিলেন । অতঃপর এই দুজনকে পাঠিয়ে দিলেন ধরাধামে । একজন সুন্দর অপরজন অসুন্দর । দীর্ঘ যাত্রার পর পৃথিবীতে এসে শ্রান্ত ক্লান্ত ঘর্মাক্ত দুজন প্রথম সিদ্ধান্ত নিল, তারা স্নান করবে।
তখন সকাল, সূর্য উঠি উঠি । তারা দুজনেই নিজ নিজ পোশাক পাড়ে খুলে রেখে লেক এর জলে ঝাঁপ দিল । দুজনেই সাঁতার উপভোগ করতে লাগলো। সুন্দর সাঁতরাতে সাঁতরাতে অনেক দুর চলে গেলো । হটাত পেছন ফিরে দেখল অসুন্দর উধাও, দেখা মিলছে না কোথাও। গেলো কই ! হত বিহ্বল সুন্দর পাড়ে এসে দেখল অসুন্দর তার পোশাক নিয়ে পালিয়েছে। গল্পটা এখানেই শেষ । জিবরান বলছেন শেষে - অসুন্দরের এর দরকার সুন্দরের পোশাক । তাই সেটা নিয়ে তাকে পালাতে হয়েছে । ফলে নিরুপায় সুন্দর ,অসুন্দরের এর পোশাক না পরে উপায় নেই তার । তারপর থেকে সুন্দর খুঁজে ফেরে অসুন্দরকে, তার চুরি যাওয়া পোশাককে । কিন্তু দেখা মেলেনা অসুন্দরের । কারন সে লুকিয়ে আছে , সুন্দর পোশাকের আড়ালে ।