মরুভূমির তপ্ত বালুর ওপর দাঁড়িয়ে ,
বৃষ্টির ভীষণ ক্লান্ত অভিমানের আগুনে পুরতে থাকে-
বালিকার খেলনা পুতুল ।
বালিকার হাতের চুরি , কানের দুলে-
অগ্নিশিখা জলতে থাকে ।
হতাশ কবিতার ভিড়ে , ধূসর রাতের অন্ধকারে ,
প্রথম সকালে ফোটা কোন প্রিয় ফুলের অপেক্ষায় ;
যখন অযথাই বালকের ঘুম ভাঙ্গে দুঃস্বপ্ন দেখে ।
তখনও সময় থেমে থাকে না হাত ধরে ,
হেঁটে যাওয়া অপরিচিত কোন একা পথে;
প্রার্থনায় মায়ের সৃতি ।
অনুভূতি জুড়ে বিসর্জনের ব্যাথায় -
স্বর্গে প্রবেশ নিষেধ ।
বালকের চোখের সামনে-
নরকের খোলা দরজা ।
বালকের পায়ের ছাপে -
বুকের পাঁজর ভাঙ্গা শব্দের প্রতিধ্বনি ।
জীবনের প্রতিটি পর্দার আড়ালে -
মৃত্যুর গোপন প্রতিশ্রুতি ।
অথচ,
চঞ্চল বালিকার হাসিমুখে-
বৈশাখীর আনন্দ ।
বিষণ্ণ বালকের হাতের রেখায়-
কবরের আমন্ত্রনপত্র।
তবুও নির্বাসিত এই পৃথিবীতে ,
তেপান্তরের মাঠে;
বালিকার ছায়া বালকের ছায়া-
পাশাপাশি হাঁটে .।.।.।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫