ছবি: গুগল
( সফেদ চাচার কোন ছবি পাওয়া গেল না
তাই গুগল থেকে মেরে দিতে হলো)
আমাদের পাড়ার সফেদ চাচা
পাড়ার মোড়ে যে চায়ের দোকান
সেখানেই বসেন রোজ।
দিনভর আড্ডা বাজি
আমার "ব্যার্থ প্রেমের গল্প শোনাই"
মূলত তাকে নিয়েই লেখা।
বিয়ে করেননি, সেই কোন কালে
কোন বিশ্বাস ঘাতক বালিকা ব্যাথা দিয়েছিলো
সেই ক্ষত আস্ত জীবন বয়ে এলো।
পাড়া-পড়শী, আত্মীয়স্বজন অনেক বলেছে
এবার থাম অনেক হয়েছে
এবার শেষ কর আর কত
এবার পর কর আর কেন?
লোকটা কেমন যেন পাগল ছিলো
সেই রাত্রিকালিন ব্যাথা গুলো
বুকের মাঝে বয়েই গেলো।
কাছে ঘেসে বসলে
দীর্ঘনিশ্বাসের শব্দ পাওয়া যেত।
সুনেছি সেই নিঠুরিনি সুখেই আছে
ঘর, সংসারে আপন রয়েছে।
শুধু সফেদ চাচায় দু:খ পেল
বোকা মানুষ কষ্ট নিলো।
পাড়ার সকল কিশোর গুলো
রোজ বিকালে আসর জমায়
সফেদ চাচায় গল্প শোনায়।
ছুড়া গুলো ও ভীষণ পাজী
পুরোটাই মুখাস্ত, তবুও রোজ এমন করে শোনে
যেন আবার বলো।
গল্পটি শোবার জানা,
ছেলে বুড়ো সবাই জানে
আমিও জানি, তবুও সময় পেলে আবার শুনি।
সত্যি বলছি, এ পাড়ার নারীদেরকেও আর
প্রতারণা করতে দেখা যায় না।
সে বেচারা ও আজ সকালে গেল
জীবন তরের সকল হিসাব ক্ষমত হল।
প্রেমের মরা এমন না হোক
চিতায় উঠুক, জ্বলুক-পুড়ুক
ছাই শেষে ভৎস হোক।
এমন যদি জীবন হয়! এমন জীবন কারো না হোক।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৭