মানুষ গুলো কাঁদছে
তুমি তাদের পাশে দাঁড়াও
মানুষ গুলো মরছে
তুমি তাদের কাধ দাও, দাফন করো।
মৃতদের জন্য কবর খোরো
জীবিতদের কাফন সাজাও।
দেখো- ধর্মের কলে বলি হয়ে যাচ্ছে স্বয়ং ঈশ্বর
হে যুবক, উলঙ্গ যৌনতা ছাড়ো
যুদ্ধের ময়দানে ভালোবাসার লাল
রক্ত গোলাপ ফোটাও,
জানিয়ে দাও পৃথিবীতে প্রেমই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
অবোধ বালিকার বিষ বাক্যে পুড়ছো
বিশাদের ঠোঁটে চুমু খেয়ে বলছো "জীবন খেলাঘর"।
তাকিয়ে দেখো- যোদ্ধাহত সৈনিকের কাধ হেলে পড়েছে
বোমায় বিষ্ফরিত হচ্ছে আর্তনাদ
পরবাসী মেঘ নিয়ে এসেছে মৃত্যুর পরোয়ানা
দক্ষিণা হাওয়ায় উত্তাল বারুদের গন্ধ
এই রক্তস্নাত কসাইখানাই তুমি জীবনের গান গাও
হে ব্যার্থ প্রেমিক, এইবার বিদ্রোহী হও।
শকুন আঁকড়ে ধরছে মায়ের আচঁল
শিয়ালে ছিড়ে খাচ্ছে জরায়ু
অনাহারী পেটে ক্ষুদার্ত চুলার উত্তাপ
শিশুতোষ ছড়ায় হায়েনার বুট।
বিরহ ব্যাথায় হে কাতর হৃদয়
বিচ্ছেদে যে আত্মহননের পথ খুঁজছো
সে জীবন মানুষের পাত্রে দান করো।
ভুল করা বালিকার অর্ন্তবাসে আটকে থেকো না
মৃত্যুর আগে একবার প্রস্ফুটিত হও, পথে নামো।
জানি, জানি কী ভীষণ দূর্বিসহ বেদনায় তোমার রাত কাটে
কী নির্মম সেই বন্ধনহীন একাকীত্ব।
ছিন্ন শিকড় তুমি, এইবার প্রকান্ড বৃক্ষ হও
তোমার ছায়ায় আশ্রয় নিক, ক্লান্তিকর মানুষ।
মানুষ গুলো স্বার্থপর,
তোমার বিশ্বাস ঘাতিনী প্রেমিকার মত
জানি আমি।
তবুও তুমি তাদের উপর রাগ করো না
বোকাদের কর্মকান্ডে কি রাগ করতে আছে!
বোকা না হলে কি কেউ নিজের ওমন ক্ষতি করে?
যেমন করে তোমার প্রেয়সী চলে গেছে অন্যের ঘরে।
লাশের বোঝা বইতে বইতে যেদিন নি:শেষ হয়ে যাবে
দেখবে যে গোপন প্রিয়ার বুকে উত্থানের সুখ খুঁজছিলে
তার চেয়েও সহস্র গুণে মন্থন হয়েছো জনসমুদ্রে।