বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এভাররেষ্ট জালিয়াত মুসা ইব্রাহীম পুনাক জায়া পর্বতের বেস ক্যাম্পে আটকা পড়েছিল। বাংলাদেশের গাজাখোরদের পত্রিকা প্রথম আলু এ নিয়ে আবারো গাজাখুরি সংবাদ লিখল। পাবলিক ডিমান্ডে এসব নিউজ ই হটকেক। জালিয়াত মুসা প্রথমে জানিয়েছিল তার খাবারের মজুদ শেষ। একদিন পড়েই জানাল তার আসল ভয় সেখানকার জংলি আদিবাসীরা তাকে খেয়ে ফেলবে। বাটপারীর একটা লিমিট থাকা উচিৎ।
এই বাটপারের কিছু বাটপারীর নমুনা -
১। ২০১১ সালে ১৪ কিলোমিটারের বাংলা চ্যানেল সাতড়ে পাড়ি দেয়ার সময় শুধু প্রথম ও শেষের কিছু অংশ সাতড়ে পার হয়। মাঝের অংশটুকু ট্রলারে চেপে পাড়ি দেয়। তীরে এসে বলে পুরো বাংলা চ্যানেল সাতাড় কেটে এসেছে।
২। ২০১০ সালে এভারেস্ট এর বেজ ক্যাম্প থেকে ২য় ক্যাম্পে গিয়েই সেখানে বাংলাদেশের পতাকাসহ ছবি তুলে কিছুটা ফটোশপ করে এভারেস্ট চূড়া বলে চালিয়ে দেয়। এভারেস্টের আসল ভয়ংকর বাধা ক্যাম্প ৩ ও ক্যাম্প ৪ এ মুসা যায় ও নাই। (ডেথ জোন, যেখানে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর দূর্ঘটনা ঘটে) আসলে সে ৭০০০ ফিট বাকি থাকতেই নেমে আসে। (শেরপাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী)
৩। ২০০৬ সালে ১৯,১২৫ ফিট উচু ফ্রে পিক উঠার দাবি করে তাও দলনেতা হিসেবে !! ঐ সময়ে একই সাথে থাকা নেপালের এক মাউন্টেনিয়ার ইন্সট্রাক্টর, তাদের দলনেতা সঞ্জয় ভৌমিক বলে দেন বাটপার মুসা ফ্রে পিকের চুড়ায় উঠতে পারে নি শারীরিক ভাবে অযোগ্য হবার কারনে !!
৪। লুলু ওয়েস্ট এ না উঠেই জালিয়াতি করে সার্টিফিকেট নিয়েছে। প্রথম আলুতে সেটা আবার ছেপেছিল !!
৫। অন্নপূর্ণা-৪ এর চূড়ার কাছাকাছি ১৪ দিন সময় লাগিয়ে উঠেছিল। পরে সে দাবি করে ৪ দিনে অন্নপূর্ণা তে উঠেছে যা ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। গাজাখোর প্রথম আলু সেটি তাদের পত্রিকায় ছাপায়।
৬। লাংসি শা্রি পর্বতে এ না উঠেই জালিয়াতি করে সার্টিফিকেট নিয়েছে।
আর পুনাক জায়া মাত্র ১৬ হাজার ফিট উচু। কোন বরফ কিংবা ঠান্ডা আবহাওয়া নাই, তাই অভিযানে। ওয়েদার খারাপ বলতে সর্বোচ্চ মেঘে ঢেকে যাওয়া আর বৃষ্টি। আর পাহাড়ের ঢালও অত না। এর মাঝে সামিট পয়েন্ট ৭ টা। আর বাটপার মুসা সবচেয়ে নিচের বেজক্যাম্পে আটকে থেকে ফোন দিছিল, যেটা আদত সমতল ও জঙ্গলে ঘেরা জায়গা। প্রথম আলু লিখেছে বাটপার মুসা পুনাক জায়া জয় করে ফেরার পথে বেসক্যাম্পে আটকা পড়েছিল। আমার ধারণা, যেই লোক ভয় পেয়ে ও শারীরিক অক্ষমতার কারণে ফ্রে পিকের চূড়াতেই উঠতে পারে নাই, তার পক্ষে ইহ জীবনেও পুনাক জায়ার পিকে উঠা সম্ভব না। সে ঐ বেসক্যাম্প পর্যন্তই উঠেছে। আর এই আটকে পড়ার গল্প, মানুষখেকো আদিবাসীর গল্প পুরোটাই মিডিয়ার লাইমলাইটে আসার জন্যে বাটপারের আরেক বাটপারীর প্রচেষ্ঠা। শতহলেও স্পন্সরের কাছ থেকে পরেরবার আবারো টাকা নিতে হবে ত !!
নিচে একদল অভিযাত্রীর পুনাক যায়া অভিজানের ভিডিও লিংক দেয়া হল।
https://www.youtube.com/watch?v=K9yu6wfpTYw
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০০