উন্নয়নের মহাসড়কে চলতে চলতে দেশ এখন উন্নয়নের নদীতে এসে পড়েছে। চিন্তা করার কিছু নেই , নদী পাড় হলেই আবার মহাসড়কে ঊঠে যাবে।
আসলে ঊন্নয়নের মহাসড়কে যে নদী আছে তা বিশেষজ্ঞমহলের জানা ছিল না । জানা থাকলে তো কবেই সেখানে ব্রীজ করে দেওয়া হত। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, ভবিষ্যতে আর এরকম ভুল হবে না।
যাই হোক ,আসল কথায় আসি। দেশের জনগনের বেশির ভাগ বিনোদনের তেমন সুযোগ ,অর্থ কিংবা সময় নেই। আর একঘেয়েমি দূর করে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনতে বিনোদনের দরকার আছে। রাষ্ট্র তাই নিজেই এই দায়িত্ব পালন করছেন। জনগনকে ফ্রি তে বিনুদুন দেয়ার জন্য কিছু আমলা ,কামলা, মন্ত্রি,কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র পুরোপুরি সফল হয়েছে তা বলাই যায়।
সম্প্রতি এই বর্ষা মৌসুমে অফিসে যাওয়ার জন্য নৌকা কিনেছে চট্টগ্রাম কর অফিস। তার উপর আবার এই নৌকা চলবে রাস্তায়, সড়কে মহাসড়কে। বাহ!! ব্যাপক বিনুদুন ।
কোমর পানি ডিঙিয়ে অফিস করছেন তারা। কারণ বান হোক তুফান হোক কর্মস্থলে যেতেই হবে। প্রবল বৃষ্টি কিংবা জোয়ার এলে সবাইকে এ সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কিন্তু দিনের পর দিন তো এভাবে চলে না।এমতাবস্থায় উপায় একমাত্র নৌকা। সেই সমস্যা নিরসনে এই বর্ষা মৌসুমে একটি নৌকা কিনেছে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪ কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে প্রায় ২৬ হাজার টাকায় নৌকাটি কেনা হয়। যাত্রী নেয়ার পর নৌকাটিকে কর অফিসের একজন দারোয়ান ঠেলে অথবা দাঁড় বেয়ে চালিয়ে নিয়ে যান। যাক, আপনারা দারুন উপায় বের করেছেন। আপনাদেরকে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানাইলাম।
কিন্তু তাদের কি হবে যাদের ২৬ হাজার টাকায় নৌকা কেনার সামর্থ নাই?? যারা রিকশা চালিয়ে , সিএনজি চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের খাবার জোটায়? হাজার হাজার মানুষ কে সকালে বেরোতে হয় জীবিকার খোজে আবার রাতে ফিরতে হয়? ছাত্র ছাত্রীদের কতোটা ভোগান্তি তে পরতে হয় তা আমাদের মেয়র ,মন্ত্রী কিংবা গদি ওয়ালারা বুঝেন না হয়ত। বুঝতেন যদি একদিন কাজে না গেলে পরের দিন আপনার পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হত।
বলবেন এইসব সমস্যা হঠাত করে সমাধান করা সম্ভব নয়। অনেক সময় লাগবে। কিন্তু আপনারা যেই সময় পেয়েছেন তাতে সমাধান করা সম্ভব ছিল। পুরোপুরি না হলেও চলার মত পরিস্থিতিতে আসত।
দীর্ঘমেয়াদি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু প্রত্যাশার মুলা ঝুলিয়ে রাখেন আপনারা। কাজ দেখানোর নামে প্রতি বর্সায় রাস্তা খুঁড়াখুঁড়ি সুরু করে দেন। আর তাতে লাভের লাভ কিছুই হয় না ,উল্টো আম পাবলিকের ভোগান্তি বাড়ে।
কি আর করার !! যা ইচ্ছা করেন। আপনাদের এমনিতেই গণ্ডারের চামড়া। শুধু শুধু বলেও কোনো লাভ হয় না। আপনাদের কিছু বলা আর ট্রেনের চাকায় হাওয়া দেওয়া মনে হয় একই কাজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯