ঘুষ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী কে ছেড়ে দেয়া সেই ওসি প্রত্যাহার ।ভালো খবর ।তবে প্রত্যাহার সামাধান নয় ।এই সময়ে অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বা মাদক বিভাগসহ সরকারী যে কোনও বিভাগ মাদক এর আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন।এটা জনগণ দেখতে চায় ।
যুগান্তর পত্রিকার খবর >>>>>>
"চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আকরাম হোসেনকে মাদক মামলার এক আসামিকে আটকের পর মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশলাইনে সংযুক্ত করা হয়। রাতেই থানার দায়িত্ব ইন্সপেক্টর তদন্ত জিএম এমদাদকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আহসান হাবীব ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোহাম্মদ।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলাতেও মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এই মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালেই মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসির বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নানা সময়ে গ্রেফতার-বাণিজ্যের অভিযোগও বেশ পুরনো।
সবশেষ চুয়াডাঙ্গার দর্শনার শীর্ষ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর মোটা অংকের ঘুষবাণিজ্যের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ওই মাদক ব্যবসায়ীকে এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করার মতো গুরুতর অভিযোগও ওঠে ওসি আকরামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিনে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওসি আকরাম হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশলাইনে নেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির রির্পোট হাতে পাওয়ার পরই আকরামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।"
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪০