বেগমগঞ্জ উপজেলার ১০নং নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মিঝি বাড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ৩রা মে মোহাম্মদুল্লাহ মিয়ার চতুর্থ ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শহীদ উল্যাহ (৪০)কে তার স্ত্রী কুলছুম মাথায় ফুটন্ত তেল ঢেলে দিলে তার শরীরের অর্ধেক অংশই ঝলসে যায়। শহীদের আত্মীয় স্বজনরা প্রথমে শহীদকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন বিকালেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দায়িত্বরত ডাক্তাররা জানান শহীদের শরীরের অর্ধেকের বেশি অংশ ঝলসে গেছে। মাথায় গরম তেল ঢালার কারণে তার মস্তিষ্ক খুব বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার বাঁচার আশা ক্ষীণ।
তবে, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। অবশেষে টানা ৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গতকাল বেলা পৌনে ৩টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শহীদ উল্যাহ। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১২/১৩ আগে একই গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের ওয়াহিদ আলী সর্দার বাড়ির আবুল হোসেনের বড় মেয়ে কুলছুমের সঙ্গে বিয়ে হয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শহীদের। ঘটা করে বিয়ের অনুষ্ঠানও করা হয়। তাদের বিবাহিত জীবনে তিন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কুলছুমের এলাকার লোকজনের কাছে জানা যায়, বিয়ের সময় শর্ত ছিল কুলছুমের নামে তার শ্বশুর মোহাম্মদুল্লাহ কিছু জমি ছাপ কবলায় রেজেস্ট্রি করে দেবেন ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেবেন, কিন্তু বিয়ের পর না কি তা দিতে মোহাম্মদুল্লাহ অস্বীকার করে আসছিলেন। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকেই দু’পক্ষের মধ্য বাকবিতণ্ডা, ঝগড়া চলে আসছিল। এলাকাবাসী এই ন্যক্কারজনক নির্মম জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন এবং অতিদ্রুত শহীদের হত্যাকারী ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবি করেন। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ আলম মোল্লা মানবজমিনকে জানান, আদালত থেকে একটি মামলা হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে। ঘাতক স্ত্রী কুলছুম বেগম ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তাকে জিজ্ঞাসবাদ করা যায়নি। তাকে পাওয়া গেলে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।( মানব্জমিন)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭