প্রশ্নফাঁস হওয়া রোধে অনেক প্রস্তাব আলোচিত হচ্ছে । ডিজিটাল বাংলাদেশে এসএসসি / এইচএসসি পরীক্ষায় এখনও অ্যানালগ পদ্ধতি কার্যকর রয়েছে । এই দুটো পরীক্ষায় বরাবরই প্রশ্ন করা হয় দু সেট ক ও খ । প্রশ্নপত্র ছাপানোর পরে তা স্টীলের ট্রাংকে ম্যানুয়ালী সংরক্ষণ করা হয় ।
কোনদিন কোন পরীক্ষা হবে তাও একটি খামে ম্যানুয়ালী চাচের মাধ্যমে সিলগালা করে রাখা হয় । এ প্রক্রিয়ায় অনেক মানুষ যুক্ত থাকে । এরপর ট্রাংকে ভরে পাঠানো হয় ট্রেজারীতে ।
সুতরাং ভেবে দেখুন হয় ক বা খ । এর বাইরে কিছু নেই । সুতরাং শত শত এসব কাজের সাথে যুক্ত লোকজন পরীক্ষা শুরুর ২/১ মাস পূর্বে জেনে যায় কোন দিন কোন সেটে পরীক্ষা হবে । তাই কি করা যায় । খুব সোজা কমপক্ষে ৫ সেট প্রশ্ন করুন । পাঠিয়ে দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫ সেট । ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্র সচিব কে বা প্রশাসনকে মোবাইল বা মেইলে জানিয়ে দিন আজ কোন সেটে পরীক্ষা হবে ।
এই কাজটি কে করবেন । ৫/৭ সদস্য এর উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করতে পারে মন্ত্রণালয় বসে । সকাল বেলা লটারি করেও করা যায় ।
ব্যাস খেল খতম । করে দেখুন এটি। প্রশ্নফাঁস ৫ সেট করে কোনো লাভ হবে না ।সেট ১০ টি করতে পারলে আরো ভালো । আর ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া কিভাবে যায় এর জন্য অনেক বিশেষজ্ঞ আছে দেশে ।
প্রশ্নফাঁস আবার ঠেকানো যায় না । হায়রে দেশ । কেউ কারো কথার মূল্য দেয় না ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২