:সেই নাসেরা বেগম প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাকে সাহায্যের জন্য ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ লাখ টাকা তুলে হাতিয়ে নিয়েছে একদল ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। ১৪ লাখ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া অনুদানের ১০ হাজার টাকাও নিয়ে গেছে তারা। ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ভয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পুরো ঘটনাই তিনি মুখ বুঝে সহ্য করেছিলেন। কিন্তু ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের এমন জঘন্য কাজকে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তিনি। তারা কলগার্ল সরবরাহের এক ওয়েবসাইটে তার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে তাকে পরিচিত করেছে কলগার্ল মৌ হিসেবে। ওই ওয়েবসাইট থেকে নম্বর নিয়ে বিকৃতরুচির ব্যক্তিরা তাকে ফোন করে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন। যার ফলে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন নাসেরা বেগম। প্রতারণার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার অনুসন্ধান করে জানা গেছে নানা তথ্য। ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছরের ১৫ মার্চ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুফিদ বিন রাব্বি ‘অসামাজিক ০০৭০০৭’ নামে বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সামহয়ার ইন ব্লগ ডট নেট-এ ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্ত্রী এখন ফেরিওয়ালী!!! শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রাপ্যটা আমরা এভাবে দিলাম!?’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন। ব্লগটির মালিক সৈয়দা গুলশান আরা জানান, পোস্টটি স্টিকি পোস্ট হিসেবে মনোনীত করেন। পোস্টটি ৫৫৬১ বার পঠিত হয় এবং ৫০১টি মন্তব্য আসে। তাতে বিপুলসংখ্যক ব্লগার নাসেরা বেগমকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য তাদের আগ্রহের কথা জানান। গত ২৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে ব্লগাররা নাসেরা বেগমের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তারা নাসেরা বেগমকে সহায়তা করার জন্য একটি তহবিল গঠন করবেন। যার মাধ্যমে তার হৃদরোগের চিকিত্সা, স্থায়ী উপার্জনের জন্য একটি দোকান ও আজিমপুরে বাসা ভাড়া করে দেয়া হবে। এরপর ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্ত্রী নাসেরা বেগমকে বাঁচাতে ৪০ লাখ টাকা প্রয়োজন’ লিখে পোস্টার সেঁটে দেয়া হয় ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ, অনুষদ ও আবাসিক হলে; ইডেন, ঢাকা ও সিটি কলেজ; বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে ও নোটিশ বোর্ডে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছ থেকে এপ্রিল ও মে মাসব্যাপী অনুদান সংগ্রহ করেন ব্লগাররা।"
বিস্তারিত দেখুন: Click This Link