somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ
**আমি একজন দেশ প্রেমিক**আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে।

ফেসবুক থেকে ভালোবাসার পথে: আমার এবং মীমের গল্প

৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

## প্রথম অধ্যায়: অনলাইন থেকে অফলাইনে

ফেসবুকের পাতায় একটি সাধারণ দিন। আমি তখন নিউইয়র্কের ব্যস্ত শহরে বসে থাকি, চারপাশে মানুষের কোলাহল আর কাজের চাপ। হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়ে মীমের সাথে পরিচয়। প্রথম পরিচয়ের দিনটি আজও স্পষ্ট মনে আছে। মীমের কমেন্ট ছিল খুবই সংযত, শান্ত এবং সুরুচিপূর্ণ।

মীমের সাথে কথোপকথনের শুরুটা ছিল সহজ, কিন্তু কিছুদিন পরেই আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠলাম। আমাদের মধ্যে এমন কিছু ছিল যা প্রতিদিনের কথায় আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে লাগলো। মীমের মধ্যে একটা আলাদা ধরনের শান্তি ছিল যা আমাকে খুব টেনেছিল। আমাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হতে লাগলো, আর আমরা নিয়মিত কথা বলতে শুরু করলাম।

---

## দ্বিতীয় অধ্যায়: ভালোবাসার জন্ম

প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আস্তে আস্তে ভালোবাসায় রূপ নিতে শুরু করেছে। মীমের মধ্যে আমি এমন কিছু পেয়েছিলাম যা আমি আগে কখনো খুঁজে পাইনি। সে তার পরিবারের বড় মেয়ে, দায়িত্বশীল এবং মাশাল্লাহ খুবই সুন্দরী। তার বাবা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন, আর মীম অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

প্রতি মাসে আমি মীমকে ৫ হাজার টাকা পাঠাতাম তার খরচের জন্য। তবে মীম কখনো টাকার বিষয়ে কথা বলতো না। একদিন মীম আমাকে বললো, "তুমি দেশে আসলে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।" আমি জানতে চাইলাম, "কি সারপ্রাইজ?" সে হাসিমুখে বললো, "এখন বলবো না, পরে বলবো।"

কিছুদিন পরে মীম আমাকে বললো, "তোমার এক টাকা ও আমি খরচ করিনি। আমি জমিয়েছি তোমার জন্য।" আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "কেন?"

সে বললো, "যেনো তুমি কখনো বলতে না পারো আমি তোমার টাকার জন্য সম্পর্ক করেছি। আমি তোমার টাকা পয়সা কোন কিছু দেখে তোমাকে ভালোবাসিনি। আমি ভালোবেসেছি কারণ তুমি একজন ভালো মানুষ, আর তোমার কথা খুব সুন্দর।"

---

## তৃতীয় অধ্যায়: প্রতীক্ষার প্রহর

মীম সবসময় আমার অপেক্ষায় থাকতো, কবে আমি দেশে যাবো। তার পরিবার আমাদের সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা শুনিয়েছে। এমনকি তার ছোট ভাই তাকে মারধর করেছে, একদিন তার বাবা ও তাকে মেরেছিল। কিন্তু তবুও কেউ আমাদের ভালোবাসার পথ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারেনি।

আমি এই সম্পর্ক নিয়ে আমার বাবা-মাকে জানিয়েছি। তবে মা এবং বোন মীমকে পছন্দ করেনি। তাদের মতে, মীমের চেহারায় মায়া কম। তবে আমি জানি, মীম খুবই সাংসারিক মেয়ে এবং আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে একদম পারফেক্ট। তাই আমি ভেবেছি মীমকে পরিবার ছাড়া বিয়ে করবো।

---

## চতুর্থ অধ্যায়: ভালোবাসার স্বপ্ন

আমাদের সম্পর্কটা দিন দিন গভীর হতে লাগলো। আমরা দুজনেই একে অপরের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ফেসবুকের কমেন্ট থেকে শুরু করে বাস্তব জীবনের এই যাত্রা আমাদের ভালোবাসার গল্পকে আরো মধুর করে তুলেছে।

মীমের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে অমূল্য। আমরা যখন একে অপরের সাথে কথা বলতাম, তখনই বুঝতে পারতাম, আমাদের ভালোবাসা কতোটা গভীর। আমরা দুজনেই স্বপ্ন দেখতাম, কিভাবে আমরা একসাথে জীবন কাটাবো, কিভাবে আমরা একে অপরকে সুখে রাখবো।

---

## পঞ্চম অধ্যায়: ভালোবাসার অঙ্গীকার

অবশেষে সেই দিনটি এলো, যখন আমি মীমকে বললাম, "আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।" মীমের চোখে অশ্রু ঝরছিলো, কিন্তু সেই অশ্রু ছিলো আনন্দের। আমরা একে অপরকে প্রতিশ্রুতি দিলাম, যে কোন পরিস্থিতিতেই আমরা একে অপরের পাশে থাকবো।

এভাবেই ফেসবুক থেকে শুরু হওয়া আমাদের ভালোবাসার গল্প বাস্তব জীবনের পথে এগিয়ে চলেছে, যেখানে ভালোবাসা এবং বিশ্বাসই আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি।

---

## উপসংহার: ভালোবাসার পূর্ণতা

আমাদের গল্পটা হয়তো খুব সাধারণ, কিন্তু আমাদের জন্য এটা একেবারে বিশেষ। ফেসবুক থেকে শুরু করে বাস্তব জীবনের পথে আমাদের যাত্রা ছিলো একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমরা দুজনেই একে অপরকে ভালোবাসি এবং বিশ্বাস করি, আর এটাই আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করে তুলেছে।

আমাদের ভালোবাসার গল্পটি প্রমাণ করে, ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে যে কোন সম্পর্কই হতে পারে অটুট। মীমের সাথে আমার এই যাত্রা কেবলমাত্র শুরু, আমাদের সামনে আরও অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষা। আমরা জানি, যে কোন পরিস্থিতিতেই আমরা একে অপরের পাশে থাকবো এবং ভালোবাসার এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×