- অপু তুই কই?
- আমি তো বাসায় । কেন কি হয়েছে ?
- দোস্ত তাড়াতাড়ি টং আয় ।
- কেন? জরুরী দরকার ?
- আরে বেটা বেশি কথা বলিস । তোকে আসতে বলেছি আগে আস ।
- আচ্ছা ১৫ মিনিট অপেক্ষা কর । আমি আসছি
মুড়ি এভাবে ডাকল কেন । ও সরি মুড়ি হচ্ছে আমার ফ্রেন্ড এর নিক নেম । আসল নাম জাহিদ । ফোন রেখে ভাবলাম কি জন্য এখন ডাকবে । কি হতে পারে । কোথাও ঝামেলা পাকিয়েছে না তো । এদিকে উকিল সাহেব এখন ফেসবুক সেলিব্রেটি হয়ে গেছেন । তার পোস্ট থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না ।
তিনি তো রাজনীতি, অর্থনীতি, বিনোদন সব কিছু নিয়েই তার স্ট্যাটাস কেটে যায় । তার কাজকর্ম বাচ্চাদেরও হার মানিয়েছে । তাই ফেসবুকে লগইন করাই বন্ধ করে দিয়েছি । না হলে আলু টমেটো আর সবজি মাঝে হারিয়ে যেতে হবে ।
যাই হোক আপাতত জাহিদের বিষয়ের ভাবতে হবে । মুড়ি এত জরুরী তলব করেছে । নিশ্চই কোন ব্যাপার আছে । মনে হচ্ছে মেয়ে সংক্রান্ত । না একে নিয়ে পারা যায় না । মাত্র পৌনে সাত তম ছ্যাকা খেয়েছে । এর অবস্থা আর লোকাল বাস একই রকম ।
টং এ গিয়ে দেখি সে ফোনের দিকে তাকিয়ে হাসছে । বাহ উন্নতি হয়েছে । শালা সবাই বিয়ে করতেছে এই বেটা নাকি মেয়ে খুজে পাচ্ছে না । না এবার পুলক রাজশাহী থেকে আসলে একে ধরে বেধে বিয়ে দিতে হবে ।
- কিরে কি খবর? এত জরুরী তলব কেন ?
- দোস্ত একটা ঘটনা ঘটে গেছে ।
- কি ? তুই কি পালিয়ে বিয়ে করেছি ? নাকি ভাবি প্রেগনেন্ট ? নাকি তোর সাতটা গার্লফ্রেন্ড এক সাথে বিয়ে করতে চাচ্ছে ?
- আরে থাম থাম । অপু আমি তো বিয়েই করি নাই আমার বউ প্রেগনেন্ট হবে কি ভাবে?
- ওহ সরি রে । সবাই টপাটপ বিয়ে করতেছে তাই ভাবলাম তুই আগে কাজ সেরে ফেলেছি । এখন সবাইকে জানাবি ।
- আরে একটা মেয়ের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছে । অনেক সুন্দরী ।
- তোকে সেই আগের বারের মত বলিউডের দিপীকার ছবি দেয় নাই তো ।
- দূর । আমি কি বোকা নাকি ।
“হ্যা, এজন্য লাস্ট টাইম দেখা করতে গিয়ে তো গন ধোলাইয়ের হাত থেকে বেচেছি । তোর জন্য আমার পছন্দের জুতা জোড়াও ছিড়েছে । তারপর সেটা মুচি সেলাই করার পর তিন সপ্তাহ পরতে পেরেছি ।’’
“আরে ভাই, বাদে না । শোন ফেসবুকে মেয়ের আইডির নাম এঞ্জেল লাইলী ।”
“কি, বললি । এইসব লাইলী ফাইলী বাদ দে বেটা । আমার পাশের বাসার কুত্তাডার নাম মজনু । দেখ গিয়ে তুই ওর গার্লফ্রেন্ড লাইন দিস না । পিছনে গোশত থাকবে না । আগে পশ্চাতদেস বাচা ।”
“তুই তো মহাপুরুষ হয়ে বসে আছিস । বিয়ে তো করবি না । ভাইয়ের খুশিও দেখতে পারিস না । একটু হলেও খুশি হও ।”
“হতাম যদি আগের বার ভুল না করতি । ভুলে গেছিস । পিংকি এঞ্জেল এর সাথে দেখা করতে গিয়ে কি হয়েছিল । আর একটু হলে তো ঘর জামাই বানিয়ে দিত । শালা তোর জন্য এটাই ভাল হতো ।”
“অপু, তুই অতীত দেখিস না । ভবিষ্যত দেখ । মেয়ে বিরাট বড় লোক । আলিশান বাড়ি গাড়ি সব আছে । ফেসবুকে আর ফোনে আমাকে সব বলেছে ।”
“কুত্তা নাই তো । তাহলে আমি নাই এই জায়গায় ।”
“তোর সাথে কথা বলে মজা নেই । তোকে ডেকেছি সাজেশন এর জন্য । আর তুই কিনা উল্টা পালটা কথা বলছিস ।”
“আচ্ছা বল । তা মেয়ের পুরো নাম কি ? থাকে কই ? এসব জেনেছিস । নাকি সব স্বপ্ন । ধুমের আলীর মত অবস্থা দেখি । গাছে কাঠাল আর গোফে তেল । যদিও তোর দাড়িতে তেল থাকবে । গোফ তো নাই ।”
“মেয়ের নাম টুম্পা । থাকে টেকনাফ । পড়াশুনা করে টেকনাফ গভঃ কলেজে ।”
“আমার মাথা ঘুরে গেল । বেটা করেছি কি । বাংলাদেশে শেষ মাথায় পৌছে গেছে । আল্লাহ ই জানে এবার আমার কপালে কি আছে ।”
“আমি জাহিদ কে বললাম, বন্ধু এইসব বাদ দে । কাছাকাছি মেয়ে দেখ । ওই দিকে যাওয়ার দরকার নেই ।”
জাহিদ তার বুক ফুলিয়ে । মনে হচ্ছে এবার তার ৮ম বারের মত পিওর লাভ হয়েছে । এই মেয়েকেই বিয়ে করবে । মেয়ে ছবি দিয়েছে । তাই আত্মবিশ্বাসে সে ফুলে ফেপে বেলুন অবস্থা । যেকোন অবস্থায় ফেটে পরতে পারে । তার আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে । মনে হচ্ছে জাপানী সুমোরাও তাকে হারাতে পারবে না । আমার কপাল ই খারাপ । এই সময় কোন ট্যুরে নাই ।
অপু চল টুম্পাকে একটা সারপ্রাইজ দেই । কাল ই টেকনাফ যাই । গিয়ে বলি আমরা চলে এসেছি । ভাল হবে না । আইডিয়া তো ভাল দিছি তাই না । জাহিদ বলল ।
ওর আইডিয়া শুনে অলরেডি আমি নিজেকে জেলে আবিস্কার করে ফেলেছি । মনে হচ্ছে এবার জেল কনফার্ম । শুভ ভাই কই আছে কে জানে । তিনি থাকলে হয়ত ব্যবস্থা করে দিতেন ।
কিরে অপু !!! কিছু বলছিস না কেন ? জাহিদের প্রশ্ন ।
মনে মনে বললাম শালা তুমি এবারও আমাকে ফাসাবা । তারপর বললাম, দোস্ত এত উতলা হইলে কিভাবে হবে । আগে জানা শুনা হোক । ভাল ভাবে একে অপর কে জেনে নেয় ।
কিন্তু মেয়ে তো আমাকে হুমকি দিছে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে । সে তো বিয়ে করতে পুরা রাজি । আমি কি করব । দোস্ত একটা সমাধান দে । জাহিদ সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে ।
আমি যেন উদ্ধার কর্তা । দেবতা জিউস এর চেয়ে নিজেকে বড় মনে হচ্ছে । আহা মহাপুরষ হবার মজাই আলাদা । এখন বিজ্ঞের মত বললাম, আরে আগে শুনতাম মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে এসে বিয়ে করে । এখন ছেলে কে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে হবে । ট্রেন্ডটা চালু করা দরকার । দোস্ত তোকে দিয়েই শুরু হোক ।
অপু তুই মজা নিস না । অনেক দিন পর কোন মেয়ে আমাকে পছন্দ করেছে । তুই বিষয়টা ভেবে দেখ । তোর কি মনে হয় না যে আমাকে হেল্প করা উচিত । জাহিদ বলল।
হুম, ভেবে দেখলাম । তুই রান্না করছিস । বাচ্চার ডাইপার চেঞ্জ করছিস । বউয়ের জন্য চা করছিস । পুরা হাউজ হাজবেন্ড । বাহ ব্যাপারটা মনে হতে একটা ভাল লাগা চলে আসছে । কি বলিস । আমি বললাম ।
জাহিদের অবস্থা তখন ভিয়াসুভিয়াস এর মত যদিও ঘুমন্ত তবে ফেটে যেতে সময় নেবে না । তাই শান্ত করার জন্য বললাম তা মেয়েটা ফোনে আর কি বলেছে ।
ও যা বলল তার সারমর্ম হচ্ছে, মেয়েটা ওর জন্য পুরাই পাগল । যেনো তেনো পাগল না পাগলাগারদে থাকা ফার্স্ট ক্লাস লেভেলের পাগল । ওকে নাকি বিয়ে করবে । না হলে সুইসাইড করে মারা যাবে ।
এইখানে আমার সন্দেহ হলো । আজকাল কেউ সুইসাইড করে না । বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার । তার জন্য আমাকে শার্লক হোমস নয় হতে হবে পাড়ার গিট্টু গোয়েন্দা । তবে যেমনটা ভাবছি তেমন না হলেই ভালো । আজকাল ফেসবুকে ভুয়া এঞ্জেলের ছড়াছড়ি । উপরওয়ালাই ভাল জানে আমার বন্ধুর কপালে কি আছে । তবে যত দূর ভাবছি এটা কারো দুষ্টামি ছাড়া কিছুই নয় । বেচারার দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে । সে নাহ একটু প্রেম পিরিতি করতে চায় । তাই বলে এভাবে মজা নিতে হবে ।
এবার এঞ্জেল লাইলীর খোজে নামা শুরু । লাগিয়ে দিলাম এক ছোট ভাইকে । ওর আবার এগুলো নিয়ে ভাল আইডিয়া আছে । ফেসবুকে নাকি তার পঞ্চাশটার মত ফেইক আইডি আছে । এত আইডি দিয়ে সে কি করে তা আর নাই বা বললাম । আপাতত লাইলী উদ্ধার অভিযানে নামা যাক ।
দু দিন চলে গেলো । কোন খবর নেই । ছোট ভাই ফেল মারছে । ঘটনা কিছু তো আছে । টং এ বসব বলে বাসা থেকে বের হলাম । মাথা কাজ করছে না । উকিল সাহেব দিনের পর দিন বিয়ের জন্য চাপ প্রদান করে যাচ্ছেন । এতে বাসায় থাকা দায় হয়ে দাড়িয়েছে । সম্প্রতি উনি খবর পেয়েছেন । আমার এক বন্ধু বিয়ে করেছে আর একজন বাবা হয়েছে । এটা নিয়ে তিনি অনেক চিন্তিত্ব । তবে আশা কথা হচ্ছে আমি এখনো বেকার জীবন পার করছি বলে তিনি কিছু বলতে পারছেন না । তাই উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে দিতে পারছেন না ।
এইসব ভাবতে ভাবতে টং এ আসলাম । আমাদের বড় ভাই শরীফ দেখি ফোনের দিকে তাকিয়ে হাসতেছে । তিনি হচ্ছে আমাদের মেরে খাওয়া পাব্লিক । টং এ ঢুকলে টাকা পয়সা যা আছে নিয়ে নেবেন । আজ দিব কাল দিবো করে প্রায় পৌনে ১৮ টাকা নিয়ে ফেলেছেন । এখনো দিচ্ছেন না । তবে চাপ দেয়া ঠিক হবে না । ওনার শরীর হচ্ছে ডাব্লু ডাব্লু ই এর বিগ শো টাইপের । আমার মতো তালপাতার সেপাইকে এক টিপে মেরে ফেলতে পারেন । তবে মাথায় বুদ্ধি কম । মুরুব্বিরা বলেছেন মোটা মানুষের মোটা বুদ্ধি ।
সে যাইহোক, উনি মিটিমিটি হাসছেন বিষয়টা সন্দেহজনক । কারন সচরাচর উনি টাকার গন্ধ পেলে এভাবে হাসেন । বিড়াল যেমন মাছের গন্ধে খুশি হয় উনিও তেমন । আপাতত ওনার খুশির রহস্য উদঘাটন করতে হবে । কোন মুরগী ধরেছেন নিশ্চয়ই । ভাগে খেতে হবে । অনেক দিন ঘুরাইছে । ঝটিকা আক্রমন করতে হবে । এবার কোন ভাবেই কাচ্চি মিস দেয়া যায় না । ওনি গায়ে চোরদের মত সরিষার তেল মেখে বেড়ান । এবার আর তা হবে না ।
আমিও পিছন দিক থেকে আক্রমনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে তার দিকে যেই এগিয়েছি । তার মোবাইলের উপর চোখ পরল । ওমা একি সেতো চ্যাটে ব্যস্ত । তাও আবার আমার বন্ধু জাহিদের সাথে । তাহলে তিনি ই এঞ্জেল লায়লা । যার জন্য আমার বন্ধু মজনু হয়ে গেছে ।
বাংলার নায়ক শাকিব খানের মত আমার মনেও প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠল । ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলা সিনেমার আ আ আ আ বাজছে । আকাশ কাল হয়ে হঠাত বিনা মেঘে জল টাইপ হয়ে গেল । একে ধরে কঠিন শাস্তি দিতেই হবে । কোন ছাড় নাই ।
তাই দুম করে ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলাম । সেই একটা হাসি দিয়ে । বললাম ভাই কি করেন ।
ভাই একটু ঘাবড়ে গেলেন । আমাকে আশা করেনি । তার চেয়ে আমি যেই ভিলেন মার্কা একটা হাসি দিয়েছি সেটা যে তার পছন্দ হয়নি । সেটা বুঝতেই পারছি । তারপর ও হাসি হাসি মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলাম ।
কিরে অপু তুই হঠাত এখানে? প্রশ্ন করলেন শরীফ ভাই । তবে ঘাবড়ে যে আছেন সেটা বুঝাই যাচ্ছে । আমিও কম যাই না । আরে ভাই বইলেন না, কে জানি জাহিদের সাথে মেয়ে সেজে ঘোল খাওয়াচ্ছে । তাকে ধরতেই হবে । ভাই আপনার সাহায্য লাগবে ।
আমি দেখলাম ভাই ঘামতেছে । তবে গলা স্বাভাবিক রেখেই বললেন, কি বলিস এসব? আর ও কি কথা বলেছে নাকি মেয়ের সাথে?
ভাইয়ের প্রশ্ন শুনে বুঝালাম তিনি আসলেই ঘাবড়ে গিয়েছেন । মনে হচ্ছে মাছ টোপ গিলেছে । আমার তো খুশিতে পোয়াবারো । পার্টি হবে, পার্টি । সবাইকে ছোট করে মেসেজ করে দিলাম । তারপর ভাইয়ের দিকে ফিরে বললাম, ভাই আপনি তো বড় । এই বিষয়ে কিছু বলেন । আমার মনে হয় কেউ ওর সাথে শয়তানি করছে । ছেলে হয়ে মেয়ে আইডি খুলে ওকে ঘুরাচ্ছে আর মজা নিচ্ছে । আপনি কি বলেন?
আমি শরীফ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওনার চোখমুখে কেমন জানি একটা ভাব । বেচারা ধরা পরে যাবে ভয় পাচ্ছে । ভেবে ছিল কিছু টাকা পয়সা আসবে । তা বোধহয় আর হচ্ছে না । তিনি আমাকে বললেন, দেখ অপু তুই ভাল ছেলে কেন এসবের মধ্যে নিজেকে জড়াবি । তার চেয়ে চল তোকে একটা আইসক্রিম খাওয়াই ।
এইবার লাইনে আসতেছে । তবে আমিও কম যাই না । ভাই আমি কি বাচ্চা নাকি যে আইসক্রিম খাবো । অই দিকে বন্ধুরা সব চলে আসতে টং এ । মোটামুটি ভিড় হয়ে গেছে । আমিও এখন সাহস করে বললাম । জাহিদ শরীফ ভাই হচ্ছেন আমাদের এঞ্জেল লাইলী । বিশ্বাস না হলে ওনার মোবাইল চেক করতে পারিস ।
শরীফ ভাই পুরো থতমত খেয়ে । ভ্যাবাচ্যাকা অবস্থা । তিনি হয়ত স্বপ্নেও ভাবেন নাই এমন ঘটবে । টং পুরো তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দিকে চলে যাচ্ছে । ভাই তো পুরাই কাহিল অবস্থা । কোন দিকে যাবেন সেটা বুঝতেই পারছেন না ।
সবশেষে আমাদের গ্রীল চিকেন আর নান ট্রিট দিয়ে এবারের মত বাচলেন । তবে আমরা প্রমান পত্র সব রেখে দিলাম । যাই হোক তবে বন্ধুর এই জীবনে আর প্রেম করা হলো না । এটাই দুঃখের ।
এত কিছু ঘটে গেল । নীলিমাকে কিছুই জানাইনি । ওকে তো জানাতে হবে । মেয়েটার খোজও নিতে হবে । তার আগে একটু ফেসবুকিং করা যাক । ফেসবুকে লগইন করতেই আমার আত্মা উড়ে গেল । দেখলাম তিনটা রিকোয়েস্ট আছে , এক এঞ্জেল লাইলী, দুই ফারহাদের জন্য পাগল শিরি এবং তিন নম্বর আমি আনারকলি ।
গল্পঃ এঞ্জেল লাইলী
(মহাপুরুষ সিরিজ)
এই সিরিজের আগের গল্পঃ
এক্সের জন্মদিনঃ এ বার্থ ডে ট্রিট (মহাপুরুষ সিরিজ)
বিয়ে কারাগার (মহাপুরুষ সিরিজ)
ব্যাচেলর্স সমিতিঃ এক ভাঙ্গা সমিতির গল্প (মহাপুরুষ সিরিজ)
সমুদ্র বিলাসঃ জার্নি বাই বাস (মহাপুরুষ সিরিজ)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৪