somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার টিয়াপাখিকে লেখা চিঠি ১১

২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন পর তোমার কাছে চিঠি লিখতে বসলাম । আগে তোমার কাছে কত চিঠি লিখেছি হিসাব আছে তোমার ? আমার চিঠির জ্বালায় তুমি আমাকে আর চিঠি লিখতেই মানা করে দিলে । অবশ্য তার কারনও ছিল । আমার এতো চিঠি তুমি রাখবে কোথায় ? এমনিতেও সবার চোখ এড়িয়ে আমার সাথে দেখা করা তার উপর আবার তোমার বজ্জাত ভাবীর চোখ এড়িয়ে দেখা করা , এসব কি কম ছিল ? এখন আবার নতুন ঝামেলা তৈরি হয়েছে চিঠির সুরক্ষিত আবাসন খোজা ! তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই তোমার কাছে লেখা কমিয়ে দিতে হল । প্রথম প্রথম খুব মিস করতাম চিঠি লেখাটা । মনে হট কত কথাই না তোমার কাছে আমি বলতে পারছি না । কিন্তু এখন আর ওরকম মনে হয় না । কারন এখন তুমি মোবাইল ব্যবহার কর ! প্রতিদিন তোমার সাথে কথা হয় । কত কথা ! তুমি কি একবার ভাবতে পারো আগে আমাদের সেই সপ্তাহ কিংবা মাসে তিন চার বার কথা হত আর এখন প্রতিদিন কথা হয় । তবুও মনটা ভরে না ।
আমি একটা হিসাব করেছি জানো ...২০১১ সালে তুমি আমার কত বার ফোন দিছো বলতও? পুরা বছরে ৮১ বার । আর এই বছরে এখনও পর্যন্ত ১০৯ দিন ফোন দিয়াছো । কোন কোন দিন দুতিন বার । তুমি কি এটা ভাবতে পারছো দিন কিভাবে বদলিয়েছে ? আবার গত বছরের ফোন গুলোর কোনটাই ২/৫ মিনিটের বেশি স্থায়িত্ব পায়নি । কিন্তু এ বছরের গুলা কোনটাই ২০/২৫ মিনিটের কম না ।কত কথা তোমার সাথে বলি । তবুও ফোন রাখার সময় মনে হয় যেন কত কিছুই না বলার বাকি আছে ! সত্যি তাই !
তবুও আজ তোমাকে লিখটে বসলাম । কারন আজ এখনও তুমি ফোন দাও নি । আজ এখনও টোমার সাথে কথা বলি নি । আজ এখনও ঠিক মত নিঃশ্বাস নিতে পারি না । এখনও কেন ফোন করছো না টিয়াপাখি ? আজ করবে তো ফোন ? জানে চারপাঁচ দিন আগে তোমাকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখেছি । এতো জীবন্ত আর এতো বাস্তব যে এখনও চোখে লেগে আছে । প্রতিবার মনে হয় তোমাকে বলবো কিন্তু মনে থাকে না । ফোন রাখার পরে মনে পড়ে । আজ তোমাকে বলি, কেমন !!
স্বপ্নে দেখলাম আমি অপরিচিত একটা রাস্তা দিয়ে হাটছি । ঠিক এমন সময় তোমার সাথে দেখা হল । এতো বাস্তব মনে হল । আমি বললাম
-তুমি এখানে ?
তুমি হাসলে । বললে
-আসলাম ।
-আসলাম মানে? যদি কেউ দেখে ফেলে ?
-দেখবে !
তোমার যেন একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব ।
-দেখবে মানে ?
তুমি আবার হাসলে । বললে
-আরে এতো ভয় পাচ্ছ কেন ? রাস্তায় চলার সময় মানুষের দেখা হয় না ? আর তুমি তো আমার অপরিচিত কেউ না । তোমার সাথে টো কথা বলাই যা্য ।
আমি খানিকটা আবাকই হলাম বলতে গেলে । তোমার এতো সাহস হল কোথা থেকে । আমরা মোরে মাথায় একটা জায়গায় বসলাম । মুখোমুখি । তুমি খুব হাসছিলে । আমর খুব ভাল লাগছিল । কত দিন তোমার এই হাসি দেখি না । তোমার দিকে তাকিয়ে আছি ঠিক এমন সময় দেখলাম তন্ময় আর ওর বাবা এই দিকেই আসছে । ও মাই গড ! এখন কি হবে ? ওরা যদি আমাদের দেখে ফেলে ? তাহলে কি হবে ? কিন্তু তোমার মধ্যে কোন উতলা কিংবা কোন উত্তেজনার ভাব দেখলাম না । দেখলাম ঐ দুজন আমাদের দিকে একবার তকিয়ে চলে গেল । দেখে মনে হল আমাদের ঠিক চিনলো না । কে জানে কি হল ?
তারপর আমরা হাটতে হাটতে সামনের দিকে গেলাম । কাঁচে ঘেরা একটা দেকানের সামনে দাড়ালাম । ফাস্টফুডের দোকান । বললাম
-চল কিছু খওয়া যাক ।
-না থাক । এখন ঢুকতে ইচ্ছা করছে না ।
-আরে চল না ।
-থাক না !
-গেলে কি হবে ? ভয় পেও না । আমার কাছে টাকা আছে ।
তুমি হাসলে । বললে
-এসব খেতে ভাল লাগে না । তুমি তো জানো আমি কি খেতে ভালবাসি !
আমি তো ভাল করেই জানি তোমার কি খেতে ভাল লাগে । তাই তোমাকে ঐ দোকান সোজাসুজি আর একটা কনফেকশনারির দোকানে ঢুকলাম তোমাকে নিয়ে । তোমার পছন্দের কেক অর্দার দিলাম । তুমি কি চমৎকার ভাবেই না কেক খাচ্ছিলে ! আমি কেবল তাকিয়েই ছিলাম ।
জানো স্বপ্ন এই পর্যন্তই । কিন্তু স্বপ্নটা দেখে যখন আমার ঘুম ভাঙ্গল দেখলাম বুকটা ধড়ফড় ধড়ফড় করছিল । ঠিক যেমনটা হয় তোমার সাথে দেখা হলে । ঐ ভাললাগা অনেকক্ষন ছিল । মনটাও ভাল ছিল অনেকক্ষন ।
আজ সারা দিন গেল । তুমি ফোন দিলা না । মনের ভিতর কেমন যেন করছে । কালকে পরীক্ষা । পড়তে মন বসছে না কিছুতেই । কি করবো বল ? কিছু ভাল লাগছে না । তুমি ফোন দিবা তো আজকে ? দিবে তো ? না দিলে কেমন করে হবে ? প্লিজ একটা বার ফোন দিও ! আজ একটা বারও তোমার আওয়াজ শুনি নাই । আজ সত্যি সত্যিই ভাল করে নিঃশ্বাস নিতে পারি নি । এখন যদি তুমি ফোন না দাও তা হলে সারা রাত ঘুম আসবে না । সত্যিই আসবে না । আমি তোমার ফোনের অপেক্ষায় বসে আছি । অপেক্ষাতেই থাকলাম........................
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের উপর আল-জাজিরা-র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৮


ধীরে ধীরে অনেক চোর-বাটপারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আল জাজিরা রীতিমত কুমির খুঁজে পেয়েছে। তাদের প্রতিবেদনটি দেখার আমন্ত্রন থাকছে। এরা নাকি দেশ-প্রেমিক, ৭১-এর চেতনাধারী, তাই তেনাদের চেতনার গরমে টেকা যাচ্ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরাফাতের ড্রাগ তত্ত্ব বিশ্লেষন

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭



আওয়ামীলীগের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন আরাফাত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের বিষয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে বলে “ আন্দোলনকারীদের অনেকে ড্রাগড ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেশীর ভাগ হিন্দু আওয়ামী লীগে ভোট দেয় বা সমর্থন করে – এই কথাটা কতটা সত্য

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৯

ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে এটা জানার কোন উপায় নেই। কারণ প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে ফেলা হয় না। যদিও আওয়ামী লীগ আমলে বিভিন্ন সময়ে অনেক কেন্দ্রে বাধ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড: ইউনুস দেশের বড় অংশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২০



ড: ইউনুসের ১ম বদনাম হলো, তিনি 'সুদখোর'; ধর্মীয় কোন লোকজন ইহা পছন্দ করে না; যারা উনার সংস্হা থেকে ঋণ নিয়েছে, তারাও উনাকে সুদের কারণে পছন্দ করে না; ধর্মীয়দের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে তো পানি দিতনা মারার আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে।

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪


আগে তো পানি দিতনা শেষ নিস্বাশের আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে। আর শামীম মোল্লা ভাইয়ের কপালে অবশ্য অত্যাচার ছাড়া কিছু জোটে নাই। “ভাই আমারে আর মাইরেন না বলে অনুনয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×