তারপর এসএসছি পরীক্ষা চলে এল । পড়া শেষ ঐ স্যারের কাছে । তারমানে টিয়া পাখির সাথে ছাড়াছাড়ি ।পুরো দুইটা বছর টিয়াপাখির কাছ থেকে দুরে ছিলাম । খুব কম দেখা হত । বছরে দু এক বার ।
তারপর একদিন হঠাত্ করেই টিয়াপাখির সাথে যোগাযোগ হয়ে যায় । একেবারে হঠাত্ করে । আমি কখনও ভাবিও নি টিয়াপাখির সাথে আমার আবার দেখা হবে । কথা হবে । যোজাযোগ হবে । মনে পড়ে কি কাঁপা হাতে আমি টিয়াপাখির প্রথম এসএমএসটা খুলেছিলাম । একটা মাত্র লাইন ছিল । কি করছেন ? কত না মুঠোফোনে বার্তা পাঠাতাম । কিন্তু তখনও কথা বলার সাহস হয়ে ওঠে নি । আসতে আসতে কথাও বললাম । ওহ ! কি দিন না ছিল সেগুল !
তাও সে তিন বছর পার হয়ে গেছে আগের কথা । মনে হয় যেন এই তো সে দিনের । ভাবতেই অবাক লাগে টিয়াপাখির সাথে আমার তিন বছরের বেশি ধরে রিলেশন রয়েছে । এখন কার দিন আর তখন কার দিন !! কত পার্থক্য ! আমার এখনও মনে আছে রাতে কথা বলতে বলত কিভাবে হতাৎ করেই টিয়া পাখি কে প্রোপজ করে বসেছিলাম । করে মনে হল কি করলাম । ভালই তো চলছিল ।এখন যদি ও না করে দেয় ? তাহলে তো সব গেল । কিন্তু টিয়াপাখি সরাসরি কিছু বলল না । তবে কথা বন্ধ করল না । কথা চলতেই থাকল । তারপর একদিন সেই দিন এল । তখন রাত প্রায় তিন টা ।টিয়া পাখি স্বীকার করেই ফেলল যে সেও আমাকে ভালবাসে । এখন থেকে না সেই স্কুল জীনন থেকেই ।তার পর থেকে তো চলছেই আমাদের ভালবাসার নৌকা । আপনারা দোয়া করেন যেনসারা জীবন এভাবেই চলে । আমার টিয়া পাখি যেন কখনও আমার কাছ থেকে হারিয়ে না যায় !
আমার এই শততম পোষ্টে আমার জীবনের সত্যি কিছু কথা সবার সাথে শেয়ার করলাম । আমার টিয়াপাখির কথা বললাম । সবাই ভাল থাকবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৩০