somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৩৭৯১ ঘন্টা অপেক্ষার সমাপ্তি

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল থেকেই খুব অস্থিরতার মধ্যে আছি । চারবার বাথরুমেও যাওয়া হয়ে গেছে । আমার এই এক দোষ, অস্থির হলে বারবার বাথরুমে যেতে হয় । আসলে অস্থিরতার শুরু কাল বিকাল থেকে । আপা যখন ফোন করে বাসায় যেতে বল্ল তখন থেকেই আমার এই অস্থিরতার শুরু হয়েছে । তোমাকে দেখার অস্থিরতার । কতদিন তোমাকে দেখি না হিসাব আছে ? আমার কিন্তু আছে । তোমাকে না দেখার কষ্ট আমাকে প্রতিটা মুহুর্তে স্বরণ করিয়ে দিয়েছে । জানো এই ১৫৭ দিনের প্রতিটা মুহুর্তও আমি তোমাকে মনে রেখেছি । একটা মুহুর্তও আমি তোমাকে ভূলি নাই । সারাটিক্ষণ মনে কেবল একটি ভাবনাই ছিল যে কখন তোমাকে দেখবো ! কখন ঐ মুখ টা এই হাত দিয়ে স্পর্শ করবো । আজ সেই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে । আর আমি অস্থিরতা হবো না?
সকাল ১১ টায় দেখা করার কথা। আমি ৯ টার সময়ে রেডি । রওনা দিলাম ১০ টার দিকে। রিক্সার মধ্যে থাকার সময়ই আপা আবার ফোন দিল।
"কোথায় ?"
" এইতো রিক্সায়"
"আচ্ছা আসো"
যাক তাহলে দেখা হচ্ছে । আল্লাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আর ধন্যবাদ আপাকে ।উনি না থাকলে কি যে হত !
বাসার সামনে গিয়ে ফোন দিলাম আবার ।
"কোথায় তুমি?"
"এইতো বাসার সামনে"
"কই?"
"এইতো চলে এসছি প্রায়"
বলতে বলতে পৌছে গেলাম । দেখি তুমি আর আপা জানলার ধারে বসে আছো । আপা বলল "যা দরজা খোল"
তুমি দরজা খুল্লে !!
আমি............
আমি কিছুক্ষন চেয়েই রইলাম নির্বাক হয়ে তোমার দিকে। কত দিন ....কতদিন পর তোমকে দেখলাম ।আমার অপেক্ষর সমাপ্তি হল। আমার মনে হৈমন্তীর অপুর কথা মনে হচ্ছিল । অপু যেমন বলে "পাইলাম, আমি তাহাকে পাইলাম।" আর আমার মনে হছিল "দেখিলাম, আমি তাহাকে দেখিলাম" । আরো একটা কথা মনে হচ্ছিল । কি জানো?
মনে হচ্ছল তোমাকে জড়িয়ে ধরার কথা ।
কিন্তু তা আর হল কই ?
কতক্ষন যে তোমাকে এভাবে দেখেছি মনে নাই । কেবল তোমাকেই দেখছিলাম । তুমি যখন বললে "কি দেখছো এমন করে ?" আমি কোন উত্তর দিতে পারি নি । কেবল চেয়ে থেকেছি তোমার দিকে । অপলক । আমি জানি না কি আছে ঐ চোখে কিন্তু চোখ ফেরনো আমার পক্ষে সম্ভব নয় । আমি কেবল জানি তুমি তুমি আর তুমি ছাড়া আমার আর কিছুই নাই ।
দেখতে দখতে যাওয়ার সময় চলে এল ।
কিছুতেই যেতে ইচ্ছা করছিল না । কিন্তু উপায় নাই । বেশি দেরি হলে তোমার সমস্যা হতে পারে । তাই চলে আসতে হল । আসার সময় আমি কত বার যে পিছন ফিরে চেয়েছিলাম । প্রত্যেকবার দেখি দরজার ফাঁক দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছো ।।
আমি জীবণে অনেক আনন্দ পেয়েছি । কিন্তু তোমার সাথে কাটানো আমার কাছে অমূল্য । এগুলোর তুলনা হয় না । আবার কবে দেখা হবে জানি না । সেই পর্যন্ত ভাল থাকো ।
I love You
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের উপর আল-জাজিরা-র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৮


ধীরে ধীরে অনেক চোর-বাটপারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আল জাজিরা রীতিমত কুমির খুঁজে পেয়েছে। তাদের প্রতিবেদনটি দেখার আমন্ত্রন থাকছে। এরা নাকি দেশ-প্রেমিক, ৭১-এর চেতনাধারী, তাই তেনাদের চেতনার গরমে টেকা যাচ্ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরাফাতের ড্রাগ তত্ত্ব বিশ্লেষন

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭



আওয়ামীলীগের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন আরাফাত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের বিষয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে বলে “ আন্দোলনকারীদের অনেকে ড্রাগড ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেশীর ভাগ হিন্দু আওয়ামী লীগে ভোট দেয় বা সমর্থন করে – এই কথাটা কতটা সত্য

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৯

ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে এটা জানার কোন উপায় নেই। কারণ প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে ফেলা হয় না। যদিও আওয়ামী লীগ আমলে বিভিন্ন সময়ে অনেক কেন্দ্রে বাধ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড: ইউনুস দেশের বড় অংশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২০



ড: ইউনুসের ১ম বদনাম হলো, তিনি 'সুদখোর'; ধর্মীয় কোন লোকজন ইহা পছন্দ করে না; যারা উনার সংস্হা থেকে ঋণ নিয়েছে, তারাও উনাকে সুদের কারণে পছন্দ করে না; ধর্মীয়দের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে তো পানি দিতনা মারার আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে।

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪


আগে তো পানি দিতনা শেষ নিস্বাশের আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে। আর শামীম মোল্লা ভাইয়ের কপালে অবশ্য অত্যাচার ছাড়া কিছু জোটে নাই। “ভাই আমারে আর মাইরেন না বলে অনুনয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×