
বড্ড ভালো ছিলুম....
খাওয়া-দাওয়া, ফেচু-সামু লইয়া সুখেই ছিলুম। কিন্তু বিধাতার বোধহয় আমার এই সুখ সহ্য হইলো না। তাহার পুনঃ পুনঃ কারসাজিতে শিক্ষকদিগের মাথায় কি যে ভর করিলো তাহা এই নাবালকের পক্ষে জানা সম্ভবপর হইলো না.. /


শুধু টের পাইলাম যে ... হঠাৎ পরীক্ষা, প্রেজেন্টেসন, অ্যাসাইনমেন্ট নামক কতিপয় দুঃস্বপ্ন আসিয়া আমার বিনিদ্র রজনী যাপনের সুখটুকু কাড়িয়া লইয়াছে। উহাদের লইয়া ভাবিতে-চিন্তিতে-লিখিতে রাত্রি শেষ হইয়া আসে..
ইহার মাঝে হঠাৎ-ই খেয়াল হয় যে, টেবিল ল্যাম্পোর আলোটা ফিকে হইয়া আসিতেছে। কারন খুজিতে যাইয়া দেখি, পুব-দিগন্তে রবি মামা তাহার সমস্ত স্বত্তা লইয়া উদিত হইতেছেন। তাহার বিশালত্বের কাছে যেমন করিয়া আমার ক্ষুদ্র টেবিল ল্যাম্পোর আলো অসহায় আত্মসমর্পন করে, তেমনি করিয়া উদিত রবির কিরন চোখে মাখিয়া আমিও নিজ শরীরটাকে বিছনায় ফেলিয়া দেই।
কিন্তু ওই যে বলিলাম বিধি-বাম, শুইতে না শুইতেই মুঠোফোন-খানা প্রবল বেগে কাঁপিয়া উঠিয়া জানান দেয় যে, "বৎস উঠ, তোমার ক্লাশের সময় হইয়াছে"....
ব্যস, আবার শুরু হইয়া গেল...সেই ক্লাশ। লক্ষ্য করিতেছি যে, ইদানিং কালে শিক্ষাগণও সঠিক সময়ে নিয়মিত ক্লাশ লইতেছেন।


জীবন আর চলিতেছে না। আমি পরীক্ষা, প্রেজেন্টেসন, অ্যাসাইনমেন্ট-যুক্ত রজনী চাহি না, নির্ঝঞ্জাট ফেচু-সামু ওয়ালা মুক্ত-রজনী চাহি।


কিন্তু, ইহা হইতে মুক্তির উপায় আমি আজ অব্দি খুজিয়া পাইলাম না.... আপনারা পাইলে আমাকে জানাইবেন অবশ্যই../

