নাম ফাটানোর কোন ইচ্ছে থাকলে আমি নিজেই নিজের নাম দিয়ে পোস্ট দিতাম।
আমার সাথে যাদের ব্যক্তিগত রিলেশন রয়েছে তাদের অনেকে জানেন যে, কোন নাম বা পরিচিতির জন্য আমি লিখিনা আর আমার লেখাও এমন ভাল কিছু না যে লেখা দিয়ে আমার পরিচিতি হবে। সম্ভবত ফেলানীর ঝুলন্ত ছবিটা আমার লেখায় প্রথম ৮ জানুয়ারী রাতে প্রকাশিত হয়। এর পর থেকে তা বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশিত হতে থাকে। অনেক বন্ধু ফোন করে বললো, আমি যেন এর জন্য রাজপথে একটা প্রতিবাদ অনুষ্ঠান করি। সেই থেকে কাজ শুরু। বেশিরভাগ বন্ধুই দেশে ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা "র" এর সক্রিয় উপস্থিতি এবং সরকারের আন্দোলন বিরোধী মনোভাবের কারনে কারো থেকে তেমন সাড়া পায়নি। একা একা এগুতে থাকি। আরিফ আর অমিত নন্দী নামে দুজন ছোট ভাই এগিয়ে আসলে কাজের কিছুটা অগ্রগতি পায়। এরপর চট্টগ্রামের মানববন্ধন আয়োজন করি। ব্লগের প্রচার আর অনেকে দেশের প্রতি নিজের একান্ত দায়বদ্ধতা থেকে সেদিনের প্রোগ্রামে হাজির হয়। তায়েফ ভাইকেও অফিস থেকে ধরে আনি
এটাই একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি।
এরপর ঢাকার ব্লগার প্রিন্স অব পারসিয়া, অর্ণব অর্ক ওরা ঢাকায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে আগ্রহী হলে আমিও এগিয়ে আসি। তায়েফ ভাই এর সমর্থনে একটা পোস্ট দিলে তা নানান ব্লগে স্টিকি হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রমান করে যে, অন্যায় হত্যার বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেছে। অবশ্য, কারো কারো সহ্যক্ষমতা বেশী, তাঁরা এইখানেও দেশকে একজোট হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন না।
আর কিছু বলার নেই। যারা আসার তাঁরা আসবেন......সময় এবং আন্দোলন কারো জন্য যেমন বসে থাকেনা, তেমন কারো নেতৃত্বের জন্যও অপেক্ষা করেনা। আমি একাই দাঁড়াব প্রেসক্লাবে খালি হাতে........।
স্বনামে আমার পোস্টগুলো............ ২১ জানুয়ারী ঢাকার মানববন্ধন নিয়ে ব্যপক সাড়া...প্রস্তুতিতে যেসব জরুরী বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
নতুন দিনের বিপ্লবীদের বিপ্লবের পথযাত্রার পেছনের কথা....
ফেলানী বোন তোমার রক্তের শপথ: কাঁটাতারের ঐ বেঁড়াগুলো একদিন ছিঁড়বোই..