মেডিকেলের প্রশ্ন ফাস নিয়ে আপনার এত মাথাব্যথা ক্যান? আপনার ট্যাকা দিয়া তারা মেডিকেলে ভর্তি হইছে? তারা তাদের বাপের টাকা দিয়া হইছে। আর যেদিন প্রশ্ন ফাস হইছে সেদিন আপনি আছিলেন কই? সারা দেশ তো প্রশ্নে ছয়লাভ ছিল? দেশের তো খোজ খবর রাখেন না। তাইলে ক্যামনে কি! আর যদি জানতেনই তাইলে প্রশ্ন কিনেন নাই ক্যা? এত সততা দেখাইতে কইছে কিডা? আপনার ব্যাটা দশ বার বছর পড়াশুনা করছে তো কি হইছে? তারা পড়ে নাই? পরীক্ষার আগের রাতে সারারাত পড়তে হইছে। তাও আবার একশটা প্রশ্ন ও তার উত্তর!!! একে তো প্রশ্নের সেট সত্যি না ভুয়া তার উপর আবার মেডিকেলের প্রশ্ন। কোনটার দুইটা তিনটা সব সঠিক উত্তর কোনটা আবার খালি। ভেবে দেখেছেন যারা সারা জীবনে বই খাতার মুখ দেখে নাই তাদের কি অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছে একরাতেই। আর জানেনই তো ওস্তাদের মাইর শ্যাষ রাইতে। তা জানেন যখন মানেন না ক্যান। ফেসবুক টুইটার পেপার পত্রিকায় লেখালেখি করে ফাটাইতাছেন। আপনার ছেলেমেয়ে যদি এতই মেধাবি হয়ে থাকে তাইলে আপনি বরং আন্দোলন করুণ এরপর থেকে সরকার যেন ভর্তি পরীক্ষায় "অবহেলিত মেধাবী" নামে একটা কোটা চালু করে। অযোগ্য বলে তাদের মেডিকেলে পড়ার কি কোন অধিকার থাকবে না!! সারাজীবন কি এভাবেই মেধাবীদের হাতে মার খেতে হবে!! তাই এবার দেখিয়ে দিয়েছে তারা। আমারাও মানুষ, আমরাও পারি। খালি সুযোগের অপেক্ষা। তাই আমার সাজেশন পোলা মাইয়াদের পড়াশুনার জন্য চাপাচাপি কইরেন না। তাদেরকে তাদের মত থাকতে দেন। গেমস খেলুক, ঘুরে বেড়াক। যাতে ভবিষ্যতে "give me another chance" গাইতে না পারে। এতে তারা অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ হওয়ার সুযোগ পাবে। আর আপনার কাজ হবে পরীক্ষা আগে ঘাপটি মেরে বসে থাকা। রাতের আধারে প্রশ্ন কিনে নেয়া। ব্যস। এতে সারা বছর আপনার টেনশন থেকে আপনি বেচে যাবেন। শরীর সুস্থ থাকবে মন ভাল থাকবে। ছেলেমেয়েও সারা বছর পড়ার চাপ থেকে বেচে যাবে। আর ভাই কে চান্স পাইল না পাইল তা নিয়ে আপনার আমার এত মাথাব্যথা দেখানোর কি দরকার। আপনার আমার বড়ি থেকে তো কেউ পরীক্ষা দেই নাই। তাই বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কি দরকার। মনে রাখবেন নিজের উন্নতি মানে পরিবারের উন্নতি, পরিবারের উন্নতি মানে সমাজের উন্নতি, সমাজের উন্নতি মানে দেশের উন্নতি। তাই দেশের উন্নতি করতে হলে আগে নিজের উন্নতি করতে হবে।
বি.দ্র. ব্যাকরণগত ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।