বার্ষিক পরীক্ষা সন্নিকটে।তাই বাতেন স্যার বের হয়েছেন ছাত্রদের একটু খোঁজ খবর নিতে।
বাতেন স্যারের বাসা থেকে বের হতেই প্রথমেই শেখ বদরুলের বাসা।ছেলেটাকে নিয়ে স্যার বেশ চিন্তিত।এমনিতেই পিছনের ছাত্র।তারউপর এ বছর পড়াশোনা একদম করে নাই বললেই চলে।পাশ করে পরের ক্লাসে উঠতে পারে কি না!
- কি রে বদরুল,পরীক্ষা তো এসে গেলো।পড়ালেখার কি খবর?
-স্যার দোয়া কইরেন,এইবারের প্রস্তুতি খুব ভালো স্যার।(মনে মনে বদরুল চিন্তা করে,এমনিতেই তো ফেইল করবো তার উপর আগেই প্রস্তুতি খারাপ বললে এটা কেমন যেন অপমানজনক।)
-দোয়া তো অবশ্যই,তোরে নিয়া অনেক টেনশন।একটু মনোযোগ দিয়া পড়িস।
এই বলে স্যার হাঁটা শুরু করলো।বদরুল ব্যাট হাতে মাঠের দিকে যাচ্ছে,বিকেলটা মিস করা যাবে না।
স্যার মনে মনে ছেলেটার জন্য দোয়া করতে করতে আবরারের বাসায় চলে এসেছে।
-আবরার বাসায় আছো?
-আসসালামুয়ালাইকুম স্যার।কেমন আছেন স্যার?
-ভালো আছি,আসছিলাম পড়াশোনার খোঁজ নিতে।তুমি ক্লাশের ফার্স্ট বয়।এবারও কিন্তু ধরে রাখতে হবে।
-স্যার দোয়া করবেন আমার জন্য,খুব ভয় হচ্ছে,কিছুই মনে থাকছে না স্যার।আমি মনে হয় এইবার ফেইল করে ফেলবো।
-আরে না না,কি বল! মনে সাহস রাখো,তোমার ক্লাশ টেস্টগুলোর সব নাম্বার দেখেছি,সবগুলোতেই সর্বোচ্চ নাম্বার।আশা করি ফাইনালেও পারবা।
-স্যার অনেক দোয়া চাই,আমার মনে হচ্ছে ফেইল করে ফেলি কি না,ফেইল করলে এই মুখ কিভাবে দেখাবো!
-দোয়া করি বাবা,আমি আসি তাহলে তুমি সাহস রাখো,কোন দরকার হলে আমাকে বল।
স্যার হাঁটতে হাঁটতে আকাশের দিকে তাকিয়ে একটু ভ্রু কুচকালো।কার কি বলার কথা,আর কে কি বলল!আল্লাহ্ বদরুলটারে পাশ করিয়ে দিয়ো।
ফ্যাক্টঃতাবৎ দুনিয়ার প্রেসিডেন্ট করোনার প্রস্তুতি নিয়ে বুঝের অভাব এবং তার জন্য প্রস্তুতির ব্যাপক ঘাটতি বলে অকপটে বারবার স্বীকার করছে।
আমরা সেই বীরের জাতি যারা চীনে করোনা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই কমপ্লিটলি প্রস্তুত।
(স্কুলে থাকতে দেখা যেত,ক্লাশের পিছনের ছাত্রগুলো সবসময় বলতো সব শেষ,প্রথমের গুলো ভয়ে বলতো কিছুই হয় নাই,হচ্ছে না,মনে থাকে না।)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩১