প্রতিদিন সুস্থ হওয়ার সংখ্যাই বেশী।এই সংখ্যার দিকে মানুষের নজর খুবই কম।অথচ মৃত্যুর মিছিল নিতান্তই অল্প যা অতীতেও প্রতিদিন হয়েছে,ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে নানাবিধ রোগে।
আপনি কি দেখেছেন বরিস জনসন আক্রান্ত হল অথচ তার সাথে সারাক্ষণ ঘুর ঘুর করা লোকজন কিন্তু আক্রান্ত হল না,অথচ সেটা না হওয়ার যুক্তি কি?
এমনকি আমি যেদিন আক্রান্ত হলাম সেদিন বিকেল পর্যন্ত আমি জব কন্টিনিউ করেছি এবং স্পর্শও চলেছে অথচ তাদের কেউই আক্রান্ত হয় নি।
আবার আরেকটা জিনিষ খেয়াল করুন,বরিস জনসন বা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর স্ত্রী এতো নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সচেতনতায় থাকার পরও কিভাবে আক্রান্ত হল?
উহান থেকে তাদের কাছে কিভাবে পৌছাল?
রাস্তার পাগলগুলো কিংবা ফুটপাতের মানুষগুলো আক্রান্ত হচ্ছে না কেন?
৩/৪ দিন আগে ১০২ বছরের একজন বৃদ্ধ যে কিনা তারও এক সপ্তাহ আগে স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় দর্শন পেয়েছিলেন যখন তিনি ICU তে ভেন্টিলেটর দেয়া অবস্থায় ছিলেন,তিনি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন নর্মাল বেডে।
আবার টগবগে ১৬ বছরের তরুণী এই যুদ্ধে পরাজিত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে।
জন্ম থেকে আজ অবধি রহস্য ঘেরা ভাইরাসটি তার অস্তিত্বে এবং কার্যক্রমে আজব হলেও একটা বিষয় কি নিশ্চিত নয় যে মানুষ কোন সিকিউরিটি ব্যাবস্থাই এর থেকে বাঁচতে পারবে না?
আব্রাহার হস্তী বাহিনীর ধ্বংসের জন্য আবাবিল পাখীর পায়ে নিয়ে আসা কঙ্করে প্রত্যেকের নাম লিখা ছিল।ঠিক স্রস্টার নির্দেশে আজাব,গজব বা রোগ এর উৎসে অবশ্যই সেইভাবে নাম লিখা থাকে।যার থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সুযোগ নেই।
সচেতন থেকেই স্রস্টার কাছে নিরাপত্তার প্রত্যশা এবং দোয়া করতে বলেছেন সর্বশেষ পথপ্রদর্শক।এ ক্ষেত্রেও এর বিকল্প ভেবে যারা ভয় কিংবা অন্যের বিপদে বগল বাজাচ্ছেন তারা কেউই সঠিক রাস্তায় আছেন বলে আমার মনে হয় না।
দেশের মানুষ কে ভয় না দেখিয়ে একটু সাহস দিন।অসহায় মানুষগুলোকে অন্তত এই ম্যাসেজ টুকু দেন যে পানি খান বেশী করে।লেবু কিনার সামর্থ্য না থাকলে অন্তত লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করুন।আক্রান্ত হয়েছেন এমন মনে করলে অন্তত নিজের নাক মুখ ঢেকে রাখুন যাতে অন্যরা এর থেকে আক্রান্ত না হয়ে যায়।সাবান কিনার সামর্থ্য না থাকলে অন্তত লবণ পানিতে হাত ভিজিয়ে রাখুন।সামর্থ্য থাকলে লেবু,কালিজিরা,মধু,লবঙ্গ খান।(আমি ডাক্তার না,নিজের অভিজ্ঞতা টুকু শেয়ার করলাম)
পরিশেষে বলতে চাই,করোনা আপনাকে আক্রান্ত করতেও পারে আবার আপনি বেঁচেও যেতে পারেন তবে মৃত্যু থেকে বাঁচার সুযোগ নেই।তাই উপলব্ধিকে জাগ্রত করুন নিজের সত্ত্বার অসুস্থ দৌড় কে থামিয়ে।
ধন্যবাদ।সকলের সুস্থতা কামনা করছি,প্রিয় মাতৃভূমির সোনালী ভোর কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৪৭