যে ইসলামের নানা নিয়ম কানুনকে অসঙ্গতি মনে করে সারাক্ষণ তার বিরুদ্ধে মন,মেধা,মস্তিষ্ক আর কলম চলে ঠিক সেই ইসলামকেই যখন কেউ ডিফেন্ড করে তখনই “বালহুম আদল” বাক্যটি যেন বারবার নাযিল হচ্ছে মনে হয়।
ঠিক যখনই পর্দার ব্যাপারে হিজাবের ব্যাপারটি আসে অথবা নারীদের সম্পত্তির বিষয় কিংবা ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্মের ব্যাপার অথবা গ্রিক মূর্তির বিরোধিতায় ইসলামের বক্তব্য সামনে আসে তখনই শাহরিয়ার কবির,খুশী কবির,সুলতানা কামাল,মাইনুদ্দিন খান বাদল প্রমুখেরা ইসলামের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারে যেন আদা জল নিয়ে নামে।মনে হয় যেন এ পৃথিবীর বিরোধিতার একমাত্র বিষয় হলো ইসলাম আর তার তার মূলোৎপাটন করাটাই মানুষের প্রধান কর্ম।
আবার মৃত্যুর সাথে সাথেই জানাজার বিষয়টি যখন আসে তখন যেন ইসলাম না আসলেই শুরু হয়ে যায় ইসলামকে ডিফেন্ড করার কাজ।খুশী কবির এসে ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার শুরু করে দেয় আবার হুমায়ুন আজাদের জানাজা না পড়লে যেন দেশেরই জাত যায়।মাইনুদ্দিন খান বাদলের জানাজাই যেন ইসলাম আর ইসলাম।
যাই হউক আসছি পতিতার জানাজার বিষয়ে।ইসলাম পতিতার জানাজার বিষয়ে “না” বাক্য ব্যাবহার করেনি তবে পতিতার জানাজার জন্য যারা পতিতাতদের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে তাদের কে প্রশ্ন করতে চাই যে আপনারা দেশের সকল ক্ষমতার ধারক (দুনিয়াবি) ও বাহক কেন পতিতা বৃত্তি বন্ধ করে তাদেরকে প্রশ্নমুক্ত জানাজার ব্যাবস্থা করতে চান না ?এক টক শো বক্তাকে দেখলাম বলতেছে যে এসব নিয়ন্ত্রণ করে গডফাদাররা,যদি তাই হয় তবে সরকার কিংবা ওই সকল ব্যাক্তিরা জানাজার জন্য লাফালাফি না করে কেন এসব গডফাদারদের শেষ করে পতিতাবৃত্তি কে খতম করে তাদেরকে সাধারণ জীবন যাপন ফিরিয়ে দিচ্ছে না?
সস্তা কিছু বক্তব্য এনে মানুষকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করাই যাদের কাজ তারাই পতিতাকে সমর্থন করে জানাজার জন্য ফতোয়া খুঁজছে অথচ তারা ঠিকই ই সরকারের অন্দর মহল। মাদক,ইয়াবা,নেশাকে “না” বলুন বলে তারাই মাদক ও নেশাকে ব্যাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং তার বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে আর সভা সেমিনার করে এগুলোর ক্ষতিকারক দিক বুঝায় জনগণকে।
আবার কোন গার্মেন্টসে নামাজ কে বাধ্যতামূলক করলে তারাই আবার তেড়ে উঠে।স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ বলে নামাজ বাধ্যতামূলক কে বেআইনি বলে।
জানাজার জন্য অথবা ঈদের মার্কেটিং এর জন্য কিংবা হজরত উপাধির জন্য ইসলাম কে শান্তির ধর্ম প্রচারের যে হিড়িক ঠিক এই ইসলামের অনুশাসনের ব্যাপার আসলেই ইসলামের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারের প্রয়াস মূলত ফ্যাসিবাদ ও মুনাফিকি চরিত্রের প্রকাশ।
জানাজার সাথে জান্নাতের সম্পর্ক যথসামান্য তাই এর পড়া নিয়ে বেশী মাতামাতির যেমন কিছু নেই তেমনই সারা জীবন বিরোধীরা নিজেদেরকে জানাজার নামাজের জন্য এতো প্রচারণায় কেন ব্যাস্ত রাখে সেটাই সচেতন মানুষের ভাবা উচিত এবং ভেবে এদেরকে সমর্থন অসমর্থনের বিষয়টা পুনর্বিবেচনাতে নেয়া উচিত।
পতিতা বৃত্তি বন্ধ করা সরকারের জন্য ফরজ জানাজার নামাজের জন্য ফতোয়া খুঁজা না,আবার নামাজ কায়েম (প্রতিষ্ঠিত করা বাধ্যতামূলকভাবে) করা সরকারের জন্য ফরজ জানাজার নামাজের জন্য উঠে পড়ে লাগা টা না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৮