রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তরকারী রান্নার ক্ষেত্রে একটা নির্দেশনা দিয়েছেন যে “তোমরা যখন তরকারী রান্না করো তখন একটু ঝোল বেশী দেও যেন প্রতিবেশীদের দিতে পারো” ।
এই নির্দেশনা থেকে বলা যায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ভুনা তরকারী খেতে বলেননি।তার মানে কি দাড়ায় ? ভুনা খাওয়া নাজায়েজ,হারাম।একমাত্র ঝোল যুক্ত খাবারই জায়েজ !
(নাউজুবিল্লাহ) এরকম কোন কিছু আসলে নেই।তবে হাদিসের একটা অংশ থেকে এরকম যুক্তি ভিত্তিক যদি আরেকটা অংশ বানানো যায় তবে কেরামতি বাড়বে,মারেফতি প্রকাশ পাবে।
এভাবেই চলছে ইসলাম আর ইসলামের ব্যাখ্যা।মাদ্রাসায় পড়লেই আলেম আর না হলে সে ইসলাম নিয়ে কথা বলতে পারবে না কিংবা কোরআনে বলেছে যে কেউ অলি হতে পারে কিন্তু এমনভাবে অর্থ বানানো হচ্ছে যে অলি হওয়ার ডিলার আছে আর সেই ডিলাররা যাকে অলি বলবে সেই অলি কিংবা সমাজে একজন পীর থাকবে বংশপরম্পরায় এবং তাকে অনুসরণ করতেই হবে ,তার কাছে বাইয়াত হতেই হবে এবং তার মারেফত কেই মেনে নিতেই হবে।এমনটাও কোরআনের একেক শব্দ থেকে একেক রকম অর্থ বের করে প্রমাণ করা হচ্ছে।
আবার যে জিকির নাই সেই জিকিরকে কেউ গাছ দিয়ে কেউ গায়েব দিয়ে কেউবা গা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেই যাচ্ছে।ইল্লাল্লাহ কোন আয়াতে আছে তাই ইল্লালাহই জিকির সাব্যস্ত হয়ে গেছে,জায়েজ হয়ে গেছে কিংবা দলিল হয়ে গেছে।
এমনটা যদি হয় তবে ভুনা তরকারীর ব্যাপারে ফয়সালাও তো সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে,তাই নয় কি? কিংবা ফাবিয়ায়্যি আলা ই রাব্বিকুমাতুকাজ্জিবান আয়াতটি ৩৩ বার আছে সুরা আর রাহমান এ।তাহলে এটার ওঁ জিকির শুরু হতে পারে,তাই নয় কি?
আপনাদের কারণে ইসলাম বুঝতে ভিশন কষ্ট হচ্ছে সাধারণ জনগণের,কারণ যুক্তি দিয়ে আপনারা যে কিচ্ছাকাহিনি বানান তার তো মাথা আর পাছা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।আজকে যে রাজনীতি হারাম বলবেন কালকে সেই রাজনীতিকে হালাল বলে আপনারা আবার অন্য এঙ্গেলে ভু দৌড় দিয়ে ফাস্ট হইতে চাইবেন।
ইউ টার্ন ফতোয়া আর গ্রামার যুক্তির শরীয়ত কি আসলে ইসলামের শরিয়ত নাকি ব্যাবসার শরিয়ত ?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৬