অত্যান্ত দুঃখজনক।
কি নিকৃষ্ট সংস্কৃতির দিকে আমরা যাচ্ছি,পূজা অর্চনার স্টাইলে একেক কিছুর জন্য একেক আজিব ইভেন্ট খুলে একটা মজা লুটার উৎসব শুরু হয়েছে।মৌলিক বিষয় কে আড়াল করে গৌণ বিষয়কে এত বেশী মুল্যায়িত করার চেষ্টা চলছে যে অন্যায়ের বিপরীতে ভিক্টিম নিয়ে যেন একধরনের ফ্যাশন শো চলে।
আশ্চর্য,ধিক্কার জানাই।
একজনকে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে,কেন উঠবস করানো হয়েছে তার যেখানে কোন সুনিদৃস্ট কারণ এখনো কেউ দেখাতে পারেনি সেখানে কারণ উদঘাটন করার দাবী জানানো এবং উপস্থিত সংবিধান প্রণেতার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবী না জানিয়ে এবং ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারটিরও সত্যতা যাচাই না করে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা কোন ধরনের আবাল প্রকৃতির কাজ সেটা মোটেই বোধগম্য না।
ইভেন্ট খোলা আর সবাই মিলে কিছুক্ষণ রং ঢং করা,মিডিয়া কভারেজ নিয়ে যে যার মত ছবি পোস্ট,সেলিব্রেটি বনে যাওয়ার চোরাই ধান্দাবাজির এই সংস্কৃতি আগামী দিনে বিচারের দাবীকে আরও ভঙ্গুর এবং অন্যায়কে আরও প্রাণ দেয়ার কাজই করবে।
এসব কাজ মৌলিক প্রশ্নকে কখনোই দাবীতে পরিণত করতে পারে না বরং পিকনিক আকারের ফ্যাশন শো এর মাধ্যমে একটি বোবা সংস্কৃতি সৃষ্টি হচ্ছে।
বায়ান্ন,একাত্তর,নব্বই,মণির হত্যা মামলা কোন কিছুই এসব ফাশ্যন শো এর মাধ্যমে আসেনি।রং মেখে সং সেজে ঢং করা যায়,কোন ফলপ্রসূ কাজ করা যায় না।
পিত্তি জ্বলে যাবে কিছু ব্যাক্তির নাম নিলে,তাই নাম না নিয়েই বলছি কিছু ক্যারেক্টার সৃষ্টির মাধ্যমে যারা জাতির মধ্যে উদ্ভট পাগলাটে তরুণের সৃষ্টি করেছে বিচারের কাঠগড়ায় তাদের মরণোত্তর বিচার দাবী ও হয়তো একদিন জোরালো হবে।
তরুণদের বাঁচান,কি করা দরকার তা না করলেও অনুধাবন যেন করতে পারে সেই প্রজ্ঞা তরুণদের মধ্যে সৃষ্টি করতেই হবে।তবেই হয়তো দিশাহারা বাংলাদেশ তার পথ খুঁজে পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৩