পূর্নিমার রাইতের অমবস্যার অন্ধকার,
গতকালের পৃথিবীতে যতগুলো ফুল ফুটে গিয়ে ঝরে গেছে ঠিক ততগুলো ফুলের শুভেচ্ছা তোকে।কেমন আছিস সে প্রশ্নটা করলাম না।কারণ,মহল্লার ডিজুস বল্টু,এফএমরেডিও এর জকি ডিজে উঠ,সদ্য গোফ গজানো ডিজুস পোলাপাইনদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে তোর সময় যে হাওয়া মে উড়তা হে টাইপের কাটছে এটা আমার ছাইতে আর ভাল কে জানে।আমি কেমন আছি তা তোর জানতে ইচ্ছা হচ্ছে না।তাই লিখলাম না তোর কুসুম কুসুম ভালবাসা বিহনে আমার শরীরের আগুনে পুড়ে গেছে কাঁথা বালিশ কম্বল।চরম গরমের ঘামে শরীরে যখন ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আসে তখন কাঁথা কম্বলের কথা ভুলে গিয়ে ভাবি আহা,তুই যদি এখন পাশে থাকতি তাহলে তোর ওড়না দিয়ে আমাকে জড়িয়ে দিতি।
ভালবাসার পেত্নীসোনা,
২,৯৯ তালাক দিয়ে আমাকে ছেড়ে গেছিস কিন্তু ৩তালাক না পাওয়ায় আমি না পারছি লুলাতে না পারছি তালাকের আনন্দে কচু গাছে ঝুলতে।ফেসবুকে,ইয়াহুতে,ব্লগে দোস্তরা আরামচে লুলায় আর আমি চেয়ে চেয়ে আহা,ওহ করি।আমার আহা,ওহ এর অভিশাপ তোর লাইপে ঠাড়া হয়ে পরে না কেন এই নিয়ে দীপু মনি কে মেইল করে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের লুলীয় আবেদন জানিয়েছি।ইচ্ছা ছিল সাহারা খাতুনের কাছে লুলীয় আবেদনটা করার।কিন্তু পারলাম না ।কারণ,এই সাহারা খাতুনের জন্যই তুই আমাকে ২.৯৯তালাক দিছস।কারণ,এই সাহারা খাতুনের কথা ভাবতে ভাবতেই নাকি আমি পাগল হয়ে যাচ্চি।আর যার পাগল হওয়ার সম্ভবনা ১০০ভাগ তারে ২.৯৯ তালাক দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মজা নিচ্চিস।আর আমি এমন একটি হরতালময় দিনেও তোর হাত ধরে রাস্তা দিয়ে হাইট্যা বেড়ানোর সুখ না পাওয়ার যন্ত্রনায় ভুগছি।খালেদা জিয়া জনগনের জন্য হরতাল দিয়ে মেকআপের আস্তর মেখে ঘরে বসে থাকে আর হাসিনা হিন্দী সিরিয়াল দেখার সময় পায় কিন্তু আমার হাত ধরে একটু বসে থাকার তোর সময় এখন আর নেই।
হে কমলারঙের ঠোট্ওয়ালী
হয় ২.৯৯ তালাক তুলে নিয়ে ভালবাসার বাশবাগানে লুকোচুরি খেলতে ছুটে আয় না হয় পুরা ৩তালাক দিয়ে আমাকে মুক্তি দে।আমারও অধিকার আছে ফেসবুক,ইয়াহু,ব্লগে লুলানোর।অন্যদশটা ছেলের মত গার্লস স্কুল কিংবা কলেজের সামনে মান্জা মেরে মেয়েদের টিজ করার।কারণ,দেশে ইভটিজারের সংখ্যা যত বাড়বে ততবেশী আত্মহত্যা হবে আর যতবেশী নারী এই দেশ থেকে পালাবে জনসংখ্য ততবেশী কমবে।তুই কি চাসনা আমি দেশের জনসংখ্যা কমানোতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখি।ইউনুস যদি সুদের ব্যবসা করে নোবেল পেতে পারে তাহলে ইভটিজিংয়ের জন্য আমি যদি কয়েকটা মেয়েকে ফ্যানের সাথে ঝুলাতে পারি তাহলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের অবদানের জন্য আমি নোবেল পেতে না পারি অন্তত দেশের পাবলিক টয়লেটগুলোর একটি হলেও আমার নামে নামকরন হবে।তোর কমলারঙী ঠোটরে কসম,আমার নামে পাবলিক টয়লেটের নামকরন হলে আমি প্রতিটি টয়লেটে লিখে রাখব যারা ১নম্বর আর ২নম্বর করবে তারা যেন হাসিনার কাছে আবেদন জানায় তোর নামে একটা ব্রিজের নামকরন করতে।
তবুও আমাকে হয় মুক্তি দে না হয় আগের মত লুকুচুরি,কানামাছি,হাডুডু,কাবাড়ি খেলতে ছুটে আয়।