রিয়েল জোক , জীবন থেকে নেওয়া(আপুদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক। মুরুব্বী, অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং অতিরুচিশীলদের প্রবেশ না করতে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি)
....................................................................................................................
আমি তখন কুমিল্লায়। সদ্য পাশ করে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি নিয়েছি। এক বিকেলে বসে আছি ডিউটি রুমে। একটা অল্প বয়েসী ছেলে এল দেখাতে।
-কি সমস্যা?
ছেলেটি একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে যে সমস্যাটির কথা বলল সেটা হলো “পার ইউরেথ্রাল ডিসচার্জ”, মানে মূত্রনালী দিয়ে পুঁজ যায়।
-খারাপ পাড়ায় যাওয়ার অভ্যাস আছে?
ছেলেটি মাথা নাড়লো
-“একবার গেসিলাম”
পরীক্ষা লিখে দিলাম। ঘন্টা খানেক পর রিপোর্ট এল। রিপোর্ট যা ভেবেছিলাম তাই।
ছেলেটিকে রোগ সম্পর্কে বোঝানো হলো। একটু টেনশনে পড়ে গেল।
-স্যার ভাল হইবো তো?
আমি আশ্বস্ত করলাম, “অবশ্যই ভাল হবে। ইনজেকশন লিখে দিচ্ছি। সাত দিন দিবা। চিন্তার কারণ নাই। ঠিকমত চিকিতসা নিলে এই রোগ ভাল হয়ে যায়। সাত দিন পর দেখা করবা”।........... সাথে কিছু পরামর্শ।
ছেলেটি হাসিমুখে কৃতজ্ঞতা জানালো।
এবার আসল নাটক।
স্যার ভিজিট……টা….(ঘাড় চুলকানোর ভঙ্গি)
আমার ওয়ার্ড বয় ঘোষণা দিল, বেশী না ১০০ টাকা ।
১০০ টাকা! গরীব মানুষ স্যার…ইয়ে মানে.. ৫০ টাকা্ রাখেন।
ওয়ার্ড বয় কটমট করতে লাগলো, আমি ইশারায় ওকে নিবৃত্ত করলাম।
- কি কর? স্যার পড়া লেখা, মানে স্টুডেন্ট , এখন বন্ধ। বিদেশ যাওয়ার ট্রাই নিতেছি।
- আমি একটা লম্বা শ্বাস নিলাম। একটু থেমে বললাম “খারাপ পাড়ায় যে গেসিলা কত খরচ হইছিলো”?
- স্যার পাঁচশ । ছেলেটির সপ্রতিভ উত্তর।কিছুটা গর্বিত। উচ্চমূল্যের বিনোদনের জন্য গর্ব।
- যে তোমারে অসুখটা দিল তারে দিলা ৫০০, আর আমি তোমারে চিকিতসা দিলাম আমারে দিচ্ছ ৫০!
- স্যার মাইয়াটা সুন্দর আছিল, হাইফাই। ভার্সিটির মাইয়া গো মতন । এই ধরেন....... এরার রেইট একটু বেশীই থাকে।
(পুন:প্রকাশ)