ডিএসই'র কাজী ফিরোজ রশিদে ট্রেডিং করে শাহ আলম। বয়স প্রায় ৪৫। স্বভাবে বেশ হামবড়া, এবং সবসময় ভাব নেয় যে শেয়ার বাজারে যা হচ্ছে তা সবই তার নখদর্পনে। আশপাশের শেয়ার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে যারা ট্রেডিং করে তাদের পর্যন্ত তার ভবিষ্যৎবানী দিয়ে ঝাড়ির উপর রাখে। মানুষের আন্গুল ফুলে কলাগাছ হয়, আর উনার পাছা ফুলে হয়েছে জেপ্লেন (বেলুন বিমান)।
শেয়ার বাজারের মন্দা শুরু হওয়ার পর তার সেই দম্ভ দেখি নিমেষেই উড়ে গেলো। সেই ভবিষ্যৎবানীও এখন আর নাই। শেয়ার মার্কেটে আসে ঠিকই, তবে ট্রেড করতে নয়, মিছিল করতে! তার নিজের পুঁজি এখন পুর্বের ২৫%! অনেকদিন পর তাকে সেদিন টিভিতে দেখলাম । হরতাল উইথড্রের আগের দিন পুলিশের মার খেয়েছেন। টিভিতে দেখানো হচ্ছে তার লাল হয়ে যাওয়া কালো পিঠ! ভাবলাম, তার এখন যে অবস্হা তাতে আরেকজন লিয়াকত ভাইয়ের মতো অবস্হা হলেও খুব বেশী অবাক হওয়ার কিছু নাই!
আজকের শেয়ার বাজার শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেখলাম সূচকের দ্রুত পতন। আধ ঘন্টার মধ্যেই প্রায় মাইনাস ৭০! তখনো লিয়াকত ভাইয়ের আত্নাহুতির খবর (সকাল ১০টা) নিউজে আসেনি। একটু পরেই দেখলাম প্রথম আলোর সর্বশেষ সংবাদে ফলাও করে প্রচার হচ্ছে এই খবর।


মুহিত সাহেব, আপনি অনেক বড়ো নামকড়া অর্থনীতিবিদ। এই সামান্য হিসাবটা বলে দিতে পারবেন কি??


