জ্বর এলে মা’র কথা খুব মনে পড়ে
মনে হয়— করোটির সীমারেখা দূরে অবিরল খাদ;
নাবিকের গলিত শরীরে মাখা অনুক্ত শব্দের ঘ্রাণ ভেসে আসে।
জ্বর এলে মা’র কথা খুব মনে পড়ে।
মনে হয়¬— শৈশব খোঁড়ল বেয়ে উঠে আসে কৃকলাস
¬— অসহায়, বাস্তুচ্যুত¬ —
কোনও এক পাহাড়িয়া দুপুরের রোশনাই চুরমার হলে
সে হারাতে থাকে তার বহুবর্ণ আর
পালাতে পালাতে ঢুকে পড়ে বর্তমান দেরাজের খোপে
আহ্! এখানেও অসহ্য ন্যাপথেলিনের গন্ধ!
জ্বর এলে ব্যক্তিগত মুকুরে প্রতিবিম্বিত হতে থাকে হৃদয়ের যত গুপ্ত-ক্ষত
তার পেছনের গল্প, গল্পের প্র-গল্প।
নেপথ্যে বাজতে থাকে দাঁতাল ইস্পাতে ভাঙা যুবকের মুখ।
জ্বর এলে সমস্ত ভাবনা এক ময়ালের বিরাট উদরে ঢুকে যেতে থাকে
এবং ঘনান্ধকারে পৃথিবীর দাপুটে সম্রাজ্ঞী নয় ; কেবলই আমার
মায়ের সহজ চোখ ফুটে ওঠে
তক্ষুনি আমার, ওর পেট ফুঁড়ে মা’র কাছে ফিরে যেতে তীব্র ইচ্ছে হয়।
আহা! মা কি জানতেন, পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীরা
ইতিহাসযানে ঘুরে এভাবেই একদিন মাতৃতন্ত্রে ফিরে যেতে চায়বে?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪২