একটি নির্ভীক ঘাসফড়িঙ রাত্রির
নিরেট আঁধার চিরে ঢুকে পড়ে আমার শোবার ঘরে
(আলোকিত স্বপ্নাচ্ছন্ন)। না, না
নবীন পাতার গন্ধে কিংবা
ঔজ্জ্বল্যের মোহে নয়- স্রেফ অনুসন্ধিৎসায়।
এক মৃদু মৃদু আশ্চর্য সুঘ্রাণ হয়তো সে পেয়েছিল
দূরের সংকেতগ্রাহী এন্টেনায় তার।
প্রতীচ্য বাতাসে ওড়ে, খানিক ওড়ার পর
(উদভ্রান্ত) বসে পড়ে নব্য লেখা খোলা কবিতার বইয়ের পাতায়।
অক্ষরে অক্ষরে সে কী যেন হাতড়ায়!
একনিষ্ঠ চিত্তে চেয়ে থাকে- ছ’টি ছড়ানো পা অনড়-অচল:
দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকে পৃষ্ঠতল;
সুপ্ত চুম্বকীয় ঝড়ে - লিথোগ্রাফিক অক্ষরে জ্বলে মেরুজ্যোতি প্রভা!
আধ-পড়া ফেলে রাখা বইটি পড়ার সাধ জাগে।
অথচ আমাকে ফড়িঙের নির্বিকার ভাবাবেশ ভাবাই না এতোটুকু।
উপরন্তু, আমি তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করি
টোকা দিই, টোকা দিই- কিছুতেই সরবে না!
বিরক্তিতে হাতে ছুঁড়ে ফেলে দিই দূরের মেঝেতে
চিৎ হয়ে পড়ে থাকে- নিষ্প্রাণ শরীর - উন্নদ্ধ পা।
নতুন কবিতা আর পড়া হয়না আমার।
প্রতীত ফড়িং আর তার আঠালো পায়ের স্মৃতি আমাকেই আঁকড়ে ধরে যেন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৭