http://www.technologybasic.com/software/abend
২।Access : ‘মাইক্রোসফট অ্যাকসেস’ যেটা ‘এমএস অ্যাকসেস’ নামেও পরিচিত, উইন্ডোজের একটি জনপ্রিয় ডাটাবেজ অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাকসেস একজন ইউজারকে নিজের পছন্দমত ডাটাবেজ তৈরী করতে এবং সুসজ্জিতভাবে তথ্য সংরক্ষণ করতে দেয়। এই ডাটাবেজে ভিজুয়্যালি কিংবা স্প্রেডশিট ইন্টারফেসের মাধ্যমে ডাটা বা তথ্য প্রবেশ করানো হয়। অ্যাকসেস ডাটাবেজে যেসব তথ্য সংরক্ষিত হয় সেসব দেখা, সেসবে খোঁজা কিংবা প্রবেশ করার জন্য ওয়েব সার্ভিসসহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহার করা যায়।
যেহেতু অ্যাকসেস হচ্ছে একধরণের মালিকানাধীণ ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(DBMS), সেহেতু এটি অন্যান্য ডাটাবেজ সিস্টেমকেও সমর্থন করে যেমনঃ ওপেন ডাটাবেজ কানেক্টিভিটি(ODBC)। এর ফলে এমএস এসকিউএল(MS SQL), ফক্সপ্রো(FoxPro), ফাইলমেকার প্রো(Filemaker Pro) এবং ওরাকল(Oracle)-র মত ডাটাবেজ সিস্টেমে এবং একইসাথে এসব সিস্টেম থেকে প্রয়োজনমত তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। আর এই উপযোগীতার কারণেই অ্যাকসেস ডাটাবেজ নির্ভর ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা যায়। তথাপি মাইক্রোসফট ফ্রন্টপেজ এবং এক্সপ্রেশন ওয়েব এমনকি এএসপি.নেট(ASP.NET) বিল্ট-ইন ভাবে অ্যাকসেস ডাটাবেজ সমর্থন করে। এসব কারণেই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সার্ভারে যেসব ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকে সেগুলো ডায়নামিক কন্টেন্ট তৈরীর জন্য অ্যাকসেস ডাটাবেজ ব্যবহার করে।
http://www.technologybasic.com/software/access
৩। ACL : এসিএল-র পূর্ণরূপ হল “Access Control List”। কোন ফাইল, ফোল্ডার কিংবা অন্যান্য বস্ত ব্যবহারে অনুমতির তালিকাকে এসিএল বলে। এর মানে হল একজন কিংবা কয়েকজন ব্যবহারকারি কোন অংশ ব্যবহার করতে এবং কি কি কাজ করতে পারবে তার বিবরণী। এই কাজের মধ্যে পড়ে রিড, রাইট এবং এক্সিকিউট করা। যেমনঃ যদি এসিএল-এ বিশেষভাবে একজন ইউজারকে শুধুমাত্র ‘রিড-অনলি’ অনুমতি দেয়া থাকে, তাহলে সেই ইউজার শুধু ফাইলটি খুলতে পারবে, কিন্তু কিছুই লিখতে পারবে না।
এভাবেই এসিএল সরাসরি ফাইল ও ফোল্ডারের ব্যবহারক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে। বেশীরভাগ অপারেটিং সিস্টেম যেমনঃ উইন্ডোজ, ম্যাক এবং ইউনিক্সসিস্টেমে এটি ব্যবহার করা যায়। যদিও এসিএল ইউজারদের থেকে লুকিয়ে রাখা হয়, তবে গ্রাফিকাল ইন্টারফেস ব্যবহার করা এগুলোকে প্রয়োজনমত পরিবর্তন করা যায়। যেমনঃ ইউনিক্স সিস্টেমে chmod() কমান্ড ব্যবহার করে এসিএল এডিট করা যায়।
http://www.technologybasic.com/software/acl
৪। Add-on : অ্যাড-অন হচ্ছে কোন সফটওয়্যারের কিছুটা প্রসারণ যেটা ওই প্রোগ্রামে কিছু বাড়তি ফিচার বা সুবিধা যোগ করে। এটা হতে পারে সেই প্রোগ্রামটির কার্যপরিধি বৃদ্ধি করে বা এর ইন্টারফেসে নতুন উপাদান যোগ করে কিংবা একে বাড়তি কোন ক্ষমতা দেয়। উদাহরণস্বরূপঃ জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মোজিলা ফায়ারফক্স বিভিন্ন অ্যাড-অন যেমনঃ গুগল টুলবার, অ্যাড ব্লকার, ওয়েব ডেভেলপার টুল ইত্যাদি সমর্থন করে। কিছু কম্পিউটার গেমেও অ্যাড-অন ব্যবহার করে আলাদা ম্যাপ, চরিত্র বা প্লেয়ারকে গেম নিয়ন্ত্রণের আলাদা ক্ষমতা পাওয়া যায়।
বেশীরভাগ অ্যাড-অন স্বয়ংক্রিয় প্যাকেজরূপে পাওয়া যায়। এর মানে হল একজন ইউজার খুব সহজে এই প্যাকেজে ডাবল-ক্লিক করার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামে তা ইন্সটল করতে পারেন। অন্যান্য অ্যাড-অনকে ম্যানুয়েলি আলাদা নির্দিষ্ট ডিরেক্টরীতে প্রবেশ করাতে হয়। যদিও অনেক প্রোগ্রামই অ্যাড-অন সমর্থন করে না, তবে বর্তমানে অসংখ্য প্রোগ্রাম তৈরী হচ্ছে অ্যাড-অন সুবিধা রেখে, কারণ এতে খুব সহজে ডেভেলপাররা তাদের প্রোগ্রামটির উন্নতিসাধন করতে পারেন।
যাহোক, সব সফটওয়্যার প্রোগ্রামেই একে অ্যাড-অন বলা হয় না। যেমনঃ “ড্রিমওয়েভার” ‘এক্সটেনসন’ সমর্থন করে, যা আলাদা নতুন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সুবিধা যোগ করে। এছাড়া “এক্সেল” ‘অ্যাড-ইন্স’ সমর্থন করে এবং এটি স্প্রেডশীটের নতুন নতুন সুবিধা দেয়। অনেক প্রোগ্রামে ‘প্লাগ-ইন’ ব্যবহৃত হয় যেটা অ্যাড-অন এরই সমার্থক মাত্র।
http://www.technologybasic.com/software/add-on
৫। AIX : এআইএক্স এর পূর্ণরূপ হল “Advanced Interactive Executive”, যদিও কিছু লিনাক্স ফ্যান একে “Ain't UNIX” বলে। এআইএক্স হল একটি ইউনিক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম যা সর্বপ্রথম আইবিএম ডেভেলপ করে। কারবেরোস ভি৫(Kerberos V5) নেটওয়ার্ক অথেনটিকেশন এবং ডায়নামিক সিকিউর টানেল অথেনটিকেশনের মত শক্তিশালী অপশনসহ গড়া এই ওএসটি মূলত সার্ভেরের কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়।
এআইএক্স এর মাধ্যমে সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিভিন্ন কাজের জন্য মেমরি বিভাজন, সিপিইউ ও ডিস্ক অ্যাকসেস করতে পারেন। এই সিস্টেমটি আইবিএম ৬৪ বিট পাওয়ার প্রসেসরকে সমর্থন করে। এছাড়া এটি বেশীরভাগ লিনাক্স অ্যাপ্লিকেশনকে সমর্থন করে এবং জাভা ২ কে পূর্ণমাত্রায় সমর্থন করে। তবে এর ফিচারগুলিতে অনেকে সন্তুষ্ট নাও হতে পারে। এর কারণ মূলত এটি সাধারণ ভোক্তামুখী কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, বরং বড় বড় ব্যবসায় প্রধাণত সার্ভারে এটি ব্যবহৃত হয়।
http://www.technologybasic.com/software/aix
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:১৯