somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা বিশ্বাস করি, তোমরা পতিতাপুত্র নও

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব বেশিদিন নয়। মাত্র ক’দিন আগে নারাণগঞ্জের এক আলোচিত ঘটনার প্রেক্ষিতে জনৈক সাংসদ সাংবাদিকদের একটি বিশেষ ভাষায় গালি দিয়েছিল। যে ভাষাটি ইদানিংকালে সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধু এই সাংসদই নয়, এর আগে প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহসিন আলীও সাংবাদিকদের ‘সারমেয়’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।

সাংবাদিক সমাজের ওপর জনমনের এ ক্ষোভ কি অমূলক বা অযৌক্তিক? সাংবাদিকতাকে মহান পেশা বলে সম্বোধন করা হয়। কিন্তু এই পেশা কি তার মহত্ত্বের জায়গাটি ধরে রাখতে পেরেছে? মহান পেশাকে বাণিজ্যে পরিণত করতে গিয়ে আজ জাতি বিভিন্নভাবে এই পেশায় জড়ি মানুষদের দ্বারা প্রতিদিনিই কমবেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। উপকৃত যে হচ্ছে না তা বলবো না। তবে যে ক্ষতি হচ্ছে তা কেন হবে?
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণগুলোর veiw বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পত্রিকাগুলো এখানে তাদের লিঙ্ক শেয়ার করে আর পাঠকরা সহজেই পেয়ে যায় চমকপ্রদ খবরগুলো। কিন্তু এই পাঠক বাড়ানোর চিন্তা করতে গিয়ে পত্রিকাগুলো ইদানিং মোটেই দায়িত্বশীল সূলভ আচরণ করছে না। যেসব সংবাদকর্মী এসব মিডিয়ায় কাজ করে তারা সকলেই জানে যে, ফেসবুক শুধু এডাল্ট তথা প্রাপ্তবয়স্করাই ব্যবহার করে না। এখানে স্কুল পড়ুয়া কিশোর থেকে শুরু করে বয়ো:বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেরই আনাগোনা রয়েছে। অথচ তারা এসব জেনেও যেন এডাল্ট খবরের লিঙ্ক শেয়ারের প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয়।

নিচে আজকের বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের কিছু স্ক্রীণশট প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করছি। যেগুলো এই সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংবাদকর্মীরা ফেসবুকে শেয়ার করেছে।















এখন প্রশ্ন হলো সামাজিক মাধ্যমে এধরণের অশালীন অসামাজিক খবরের লিঙ্ক কি কোন বিবেকবান সংবাদকর্মী শেয়ার করতে পারেন? এসবের মধ্যে এমনসব খবরও আছে যা আমি কমিউনিটি স্টান্ডার্ডের কথা চিন্তা করে উপস্থাপন করতে পারিনি। আমি দেশের সকল বিবেকবান মানুষের কাতারে দাঁড়িয়ে মনে করি সাংবাদিকরা পতিতাপুত্র কিংবা সারমেয় গোছের কেউ নন। আমাদের সে বিশ্বাস ভঙ্গ করার কোন অধিকার তাদের আছে কি? কোমলমতি কিশোরদের এডাল্ট খবর পড়ানোর কোন দায়িত্ব পত্রিকার মালিকপক্ষ কিংবা সম্পাদকীয় পর্ষদের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে কি?

আমরা মিডিয়ার কাছে জনগুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোই আশা করি। ওয়ার্ল্ড ক্লাস পতিতাদের খবর প্রচারে দেশ ও জাতির ক্ষতি বৈ উপকারের কোনই সম্ভাবনা দেখি না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প বলেছে, বাংলাদেশ পুরোপুরি এনার্খীতে, তারা মাইনোরিটির উপর অত্যাচার করছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬



৩ দিন পরে আমেকিকার ভোট, সাড়ে ৬ কোটী মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে; ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫১ ভাগ। এই অবস্হায় সনাতনীদের দেওয়ালী উপক্ষে ট্রাম্প টুউট করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

×