খালি কি ভাইয়া মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে দেশে দেশে 'আমেরিকান ইন্টারেস্ট' রক্ষা করিলে হইবে? শুধু করর্পোরেট ইন্টারেস্ট দেখলে কিভাবে হবে, সাথে ক্ষমতায় থাকার অদম্য ইচ্ছাশক্তিরও দরকার আছে। এত দিন মনে করতাম আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সেই ইচ্ছাশক্তির অভাব আছে, ট্রাম্প সাহেব আমার ভুল ধরায় দেওয়ার কারনে এই পোস্ট তাকে উৎসর্গ করলাম।
কাজের কথায় আসি এবার। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে উৎসর্গ করলেও এখানে ডেমোক্র্যাটদের জন্যও শিক্ষার বিষয় আছে। আশা করি দুই পার্টির সকল সিনেটর এই রচনা থেকে শিক্ষা লইবে।
১। নিজেদের দলের কোন একটা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সিলেক্ট করে সেটাকে আরেকটা ধর্ম বানায় ফেলতে হবে। আরে ভাই নীতি-নৈতিকতা দিয়ে কি এখন ভাত হয়। লিংকন সাহেব কি করে গেছিল সেটা দিনে ১৪ বার আউড়াইতে হবে। ডেমোক্র্যাটদের বসে থাকলে হবে না, রুজভেল্ট সাহেবের কীর্তি সমানে আউড়াইতে হবে। সাথে চেস্টা করতে হবে ওয়াশিংটন সাহেবকে নিজের দলের বলে প্রচার করতে।
২। যেই দলই ক্ষমতায় যাও না কেন মনে করে সিলেবাস চেন্জ করবা কিন্তু। বিশেষভাবে তোমার দল কিভাবে আমেরিকার পক্ষের শক্তি সেটাতো বাচ্চাদের বোঝাতে হবে নাকি। মনে রাখবা, সেখানে কীর্তিবান নেতা যেন খালি তোমার দলেরই হয়। বিপক্ষ দল তো চেতনা-বিরোধী দল।
৩। পত্রিকা গুলোকে নিজের দলে নিয়ে নিবা। তোমার কুকীর্তির কথা যদি আমজনতা না-ই তাইলেই্ হইলো। তারা তাদের মনমত ইউটিউব দেখবে, তোমরা তোমাদের মত কাজ করবা। দুই পক্ষই খুশি।
৪। সব থেকে জরুরি যে কাজ করতে হবে তা হল ছাত্রদের,উঠতি বয়সীদের মধ্যে ক্যাচাল লাগায় রাখবা। এই কাজটা করতে পারো নাই বলেই আজ এত বড় আন্দোলন সামাল দেওয়া লাগতেছে। ক্যাচাল কালচার তো একদিনে হবে না সময় লাগবে। তোমাদের হাই-ইসকুল, ভারসিটিগুলাতে পলিটিক্যাল উইং খুলতে হবে। বালছাল ছাত্রদের নিয়ে তোমাদের কাজ করতে হবে। তাদেরকে দিয়ে দলের চেতনা উজ্জীবিত করতে হবে। চেতনা ছাড়া রাজনীতি হয় নাকি আবার। যেহেতু তোমাদের এই কালচার নাই সেহেতু এবার কালচার ইমপোর্টের জন্য তলাবিহীন ঝুড়ির ভিতরেই হাত দেওয়া লাগবে। বাংলাদেশ থেকে ছাত্রলীগের কিছু স্যাম্পল নিয়ে যাও। প্রথম যেদিন পাবলিক মাঠে নামলো সেদিন যদি তোমরা 'স্যাম্পল' ব্যবহার করতা তাহলে এই দিন দেখা লাগতো না। সাথে বাংলাদেশেরও কিছু এক্সপোর্ট হইলো। গারমেন্টস নামের দাস ব্যবসা করে আর কতদিন চলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০২০ ভোর ৫:৪১