somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বীরউত্তম লে কর্নেল এ টি এম হায়দার

১৩ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বাংলাদেশে (তত্ কালীন পুর্ব পাকিস্তান ) প্রথম পাক সেনাবাহিনীর কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের কর্মকর্তা হায়দার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে পালিয়ে ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে যোগদেন এবং শুরু থেকেই ২নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফ এর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে মেলাঘরে অবস্থিত প্রশিক্ষন ক্যাম্পে সকল মুক্তিযুদ্ধাকে কমান্ডো বিস্ফোরক ও গেরিলা ট্রেনিংসহ করাতেন । কিশোরগঞ্জ -ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর তারের ঘাটপুল ও মুসল্লি রেলপুল, ঢাকা-চট্রগ্রামের রাস্তায় ফেনিতে অবস্থিত বড়পুল ধবংসসহ একাধিক অপারেশনের নেতৃত্ব দেন মেজর হায়দার । অক্টোবরের ৭ তারিকে খালেদ নিয়মিত ব্রিগেড কে' ফোর্সের কমান্ড গ্রহন করলে তিনি সেক্টর অধিনায়কত্বলাভ করেন । ১৬ ই ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন । ঐদিন প্রথম ঢাকা বেতারে ও টিভি থেকে ঘোষনাপাঠ করেন -"আমি মেজর হায়দার বলছি -মুক্তিবাহিনীর প্রতি নির্দেশ "
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে তাকে বীর উত্ম উপাধীতে ভুষিত করেন । স্বাধীন দেশে মেজর হায়দার কুমিল্লা সেনানিবাসে ১৩ ইস্টবেঙ্গল প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯৭৪ সালে তিনি লে কর্নেল পদে উন্নীত হন ও চট্রগ্রাম সেনানিবাসে ৮ম বেঙ্গলের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন ।

'৭৫ সালের নভেম্বরে পিতার জরুরী টেলিগ্রাম পেয়ে ঢাকায় আসেন এবং যুদ্ধকালীন সহযোদ্ধা আরেক কিংবদন্তী বীরসেনা জেনারেল খালেদ মোশাররফের সাথে সাক্ষাত করতে যান ।

'৭৫ সালের ৭ ই নভেম্বর ভোরে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থানরত কর্নেল নওয়াজিশ ( '৮১ সালে জিয়া হত্যায় জড়িত সন্দেহে ফাসি দেয়া হয় ) এর নেতৃত্বাধীন ১০ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার মেসে নাস্তা করার সময় মেজর জলিল আর মেজর আসাদের নেতৃত্বে খালেদ -হুদাকে হত্যার পর কিল ঘুষি লাথি মারতে মারতে দু'তলা থেকে নিচে নামিয়ে এনে গুলি করে হত্যা করা হয় বীর উত্তম লে. কর্নেল এ টি এম হায়দারকে । ১১ ই নভেম্বর ১৯৭৫ রোজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের সোলাকিয়া গ্রামে মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয় মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তী বীরসেনানী লে কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তমকে ।

গত ৭ তারিখে মিডিয়া আর অন্তর্জালে সিপাহি বিপ্লব নিয়ে নানা লেখা দেখলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না বিনা বিচারে খালেদ-হায়দার আর হুদার হত্যার কথা ।

চোঁখের সামনে ভেসে উঠল উপরের ছবি ( Bangladesh a Brutal Birth ) যেখানে জেনারেল অরোরা আর নিয়াজির সাথে অপুর্ব ভঙ্গীতে কাঁধে চাইনিজ এস এম জি নিয়ে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পন টেবিলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মেজর হায়দার ।

একই সাথে কলিম শরাফির কন্ঠে আমার এক প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত কানে বেজে উঠল "তুমি কি কেবলই ছবি /শুধু পটে আঁকা ............তুমি কি তাদের মত সত্য নও ?"


ছবি শুধু ছবি নয় , ছবি কথা বলে
হায়দারের এই ছবিও শুধু ছবি নয় -জীবন্ত দলিল
ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলে এমন সাধ্য আছে কোন শালার ?



Ref:

১।স্বাধীনতা সংগ্রামের দলিল পত্র ৯ম-১১তম খন্ড
২। তিনটি সেনা অভ্যু্থান , লে ক.এম এ হামিদ
৩। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বরূপ , মেজর রফিকুল ইসলাম পি এস সি
৪। আমাদের সংগ্রাম চলবেই , অপরাজেয় সংঘ
৫। লে ক গাফফার বীরউত্তমের ইন্টারভিউ , ভোরের কাগজ ৬ নভে ২০০৬

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫১
৫৪০ বার পঠিত
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ফুলকপি পাকোড়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২০



ফুলকপি নিয়ে চারিদিক বেশ হৈচৈ চলছে । ক্রেতা হিসাবে আমাদের কিছুই করার নেই দুঃখ প্রকাশ ছাড়া । তো ফুলকপির পাকোড়া খুব স্বাদের জিনিস । ঝটপট বানিয়ে ফেলুন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাইরে নাইরে না!!!!!!!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২২



বেশ কিছুদিন আগে দ্য সানডে টাইমসে একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম। লেখক হিপোক্রেসির ধরন বোঝাতে গিয়ে একটা কৌতুকের অবতারনা করেছিল। কৌতুকটা এমন..........ছয় বছরের ছোট্ট জো তার বাবাকে গিয়ে বললো, ড্যাড, আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঈশ্বর!

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯







নিটশের ঈশ্বর মৃত হয়েছে বহুদিন আগে, জড়াথস্ট্রুবাদের ঈশ্বর বদলে যায়নি, একটাই থেকেছে ; আব্রাহামিক ঈশ্বর অনেক ভাষায় কথা বলা শিখিয়েছে মানুষকে ;বুদ্ধের ঈশ্বর অভিমান করে কথাই বলতে চায়নি ; মিথলজীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানেরা ভাগ্যন্নোয়নের জন্য পশ্চিমে গিয়ে, পশ্চিমের সংস্কৃতিকে হেয় করে ধর্মের নামে।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০



এখন পশ্চিম চাহে যে, মুসলমানেরা যেন "ভাগ্যান্নষন"এর জন্য তাদের দেশে আর না যায়; কারণ, মুসলমানেরা পশ্চিমের সংস্কৃতিকে হেয় করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে। একই আব্রাহামিক ধর্মের লোকজন হলেও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০০

প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় এখন আর কেউ নিজের মতো হতে চাই না, হতে চাই বিশ্ববরেণ্যদের মতো। শিশুকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিযোগিতা। সব ছাত্রদের মাথায় জিপিএ ৫, গোল্ডেন পেতে হবে! সবাইকেই ডাক্তার,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×