ছবিঃ ইন্টারনেট
টাঙ্গাইলে রাতের বাসে রুপা মরে গিয়ে বার বার প্রমান করল এই দেশে মেয়েদের রাতে বাইরে বের হতে নেই । আজকে খবরের কাগজের প্রধান শিরোনাম তুরাগ বাসে নারী ধর্ষণের চেষ্টা ।মেয়েটা সাহসী থাকায় বেঁচে গিয়েছে । নয়তো রূপার মতোই মারা যেতো । কি বলব সমাজে একটা অদৃশ্য নিয়ম চলছে নারীদের একা একা কোথাও যেতে নেই ।চাকরি করতে নেই । ব্যবসা করতে নেই । সমাজে কারও সাথে মিশতে নেই । ভয়ংকর নারকীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সময় । এমন কি এই বিকৃত অস্থির সমাজ ব্যবস্থায় কখন ও পুরুষ ও নিরাপদ না ।অফিসে ,স্কুলে কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় ,রাস্তা ঘাটে কোথাও নিরাপদ না । যে কোন সময় যে কেউই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হতে পারে । চার বছরের শিশু থেকে ষাট ঊর্ধ্ব বৃদ্ধা ধর্ষণ নামক এই ভয়ঙ্কর আক্রমন থেকে রেহাই নেই । রূপার হত্যাকারীদের ফাঁসি দিলে ,তনুর হত্যার বিচার না হওয়া ,আপন জুয়েলারসের পুত্রের বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের খবর তো এখন প্রশাসন , পুলিশ ,সরকার ,মিডিয়া আর জনগন সবাই ভুলে গেছে । একটা করে ঘটনা ঘটে দুই একদিন সবাই হাপিত্যেস করে ।তারপর একদিন সব ভুলে যায় ।আবার সেই আগের মতোই ঘটনা ঘটতে থাকে । পত্রিকার পাতা পুরনো হতে হতে খবর গুলোই পুরনো হয়ে যায় ।যারা কেবল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তারাই জানে জীবন কতো ভয়াবহ । একটা ক্ষত বুকের ধারন করে নিজেরাই ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে একটা জীবন দীর্ঘশ্বাসে কাটিয়ে দেয় ।
রাক্ষস আর দানবীয় ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের চিন্তার গতি পথ এগিয়ে যাচ্ছে । নীতি গত কিংবা মানবিক বোধের এতো অধঃপতন । চিন্তার সীমানা অতিক্রম করে ।যাদের ঘরে বাবা ভাই নেই ।তাদের সংসার তো মেয়েরাই চালায় । যাদের সংসার এক জন কর্মক্ষম মেয়ের উপর নির্ভর করে তারা কিভাবে ঘরে বসে থাকতে পারে ? যাদের সংসার মাত্র ১০০০০ টাকা দিয়ে গুনে গুনে পুরো মাস চলে তারা কি আগামি মাসে চালাতে পারবে এই কথা ভেবে ঘরে বসে থাকতে পারে ? যাদের ঘরে বৃদ্ধ মা বাবা কিংবা অসুস্থ কেউ আছে তারা কি ঘরে বসে থাকলে আকাশের দিকে তাকিয়ে কান্না কাটি করলেই এক মুঠো অন্ন কেউ দিয়ে যাবে । সব সময় মানুষের জীবন অনিশ্চিত ।এখানে বেঁচে থাকার লড়াই অনেক । বাঁচতে হলে কিংবা বাঁচাতে জীবন যুদ্ধে নামতে হবে ।সত্যি এই পৃথিবীতে পেটের ক্ষুধার মতো দায় আর কিছু নেই । নারী পুরুষ সবাইকে দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে জীবনের পথে ছুটতে হয় । আর কিছু নয় এই যে ছুটে চলা জীবনের পথটা নিরাপদ চাই ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫