(মুরগী মাংসে গন্ধ)
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই মোটামুটি ষ্ট্রীট ফুড বা রাস্তার খাবার জনপ্রিয় । রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ খাবেই । কিন্তু আমাদের দেশে রাস্তার খাবার গুলো কিংবা নরমাল ফাস্ট ফুড রেস্তরার খাবার গুলো কতো টুকু স্বাস্থ্য সম্মত । একদিন এক পরিচিত সাংবাদিক অসুস্থ ছিল পিজি হাসপাতালে । আমরা কয়েকজন দেখতে গিয়েছিলাম । যেতে যেতে রাস্তায় চা খেতে ইচ্ছে হল । কিছু দূর এগুতেই দেখি ড্রেনের নোংরা পানি দিয়ে কেটলি মাজতেছে । সাধারন প্রতিবাদ করলাম । অভদ্র লোকেরা নিজের দোষ কখনও স্বীকার করে না ।
যাই হউক সাধারন শপিং এবং ঘুরতে নিউ মার্কেট গেলাম । আমার ক্ষুধা লাগল । এর মধ্যে কয়েক রেস্তরাঁর লোক আপা এখানে আসেন .।।আপা এখানে আসেন .।।।এই টাইপ জোরাজুরি করতে লাগল । যারা নিয়মিত ঢাকার নিউমার্কেট দুতলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করে তারা এই দৃশ্য দেখে থাকবে ।
(ময়লা সহ সিদ্ধ না হওয়া মাংস)
আমি একজন কর্মীকে বললাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হবে ।
আরে হবে হবে ।
আরে আপারে বসতে দে
একটা খাবারের মেন্যু নিয়ে একটা ছেলে আসলো ।
আমি দেখে শুনে একটা সেট অর্ডার করলাম । সেখানে চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই , সেভেন আপ ড্রিঙ্ক আর ক্ল সালাদ ।
মুরগি খেলাম হাল্কা গন্ধ শুকে শুকেই .।ব্যস্ততার কারনে মেন্যু দেখিনি । কিছুক্ষন পর দেখলাম মুরগির মধ্যে ময়লা । কিন্তু যখন আমি প্রায় সব টাই খেয়ে নিয়েছি । এরপর চোখ গেল মেন্যুর দিকে ক্ল সালাদ দেয়নি । দিয়েছে তিন টুকরা শসা ।
আমি রেস্তরার লোক কে ডেকে বললাম এই যে মুরগির ভিতরে ময়লা আর আর আপনারা তো ক্ল সালাদ দেন নি । তখন লোকটা বলল ...।এই তিন টুকরা শসাই ক্ল সালাদ ।
আমি গুগল এ দেখালাম । সসা আর ক্ল সালাদ কি ... লোকটার কিছু বলার নাই । মাথা চুল্কায় আর হাসে । তারপর বলে
আসলে অনেক ক্ল সালাদ খায় না তাই সসা দেই ।আমি হেসে দিলাম আমি তো এটা আছে বলেই এই সেট নিলাম । লোকটা তখন বলে
আসলে আপা আজকে সালাদ টা বানায় নাই ।
আমি বললাম টাকা তো কম নিবেন না । সসা আর সালাদ কি এক ।
যাইহোক আমি টাকা দিচ্ছি অযথা সময় ব্যয় বা ঝামেলা বাচাতে । তবে মনে রাখবেন ছদ্ম বেসে ভ্রাম্যমান মেজিস্ট্রেট বা পুলিশ আসতে পারে ।
সততার সাথে ব্যবসা করুন ।
নয়তো একদিন মহা বিপদে পরবেন ।
লোকটা কিছু বলে না । তারপর আসার সময় বলে এর পর হবে না ।
আর আমি ভাবলাম তবু লোকটা বাজে মন্তব্য করেনি । কিছুটা হলেও স্বীকার করেছে । আমাদের দেশে কেউ এখন নিজের দোষ স্বীকার তো করেই না বরং গায়ের জোর দেখায় । তাই ভাবলাম থাক তবুও স্বীকার করেছে ।
তাই পুরো টাকা দিয়েই বের হলাম ।
(রেস্তরার সামনে থেকে ছবি তুলতে চেয়ে ছিলাম)
সব জায়গায় এমন প্রতারনা আর ঝামেলা । তবু ও আমাদের রাস্তায় বের হতে হয় । রাস্তার খাবার খেতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১১