১১৬ জন ধর্মব্যবসায়ীর তালিকা প্রকাশ !!
গত ১২ই মে ২০২২ ইং গণকমিশনে দুদকে যে শ্বেতপত্র দিয়েছেন তাতে ১১৬ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে 'ধর্ম ব্যবসা, সারাদেশে মৌলবাদী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের' অভিযোগ করা হয়েছে। এক হাজার মাদরাসার তথ্য-উপাত্তের ওপর তদন্ত করে এই তালিকা জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন। বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্ত গণকমিশনের প্রকাশিত শ্বেতপত্রের কপি দুর্নীতি দমন কমিশনে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুদকে জমা দেওয়া এসব নাম শ্বেতপত্রের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা আছে। ধর্ম ব্যবসায়ী’র এ তালিকায় যেমন দেশের প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় আলেম-উলামাদের নাম দেখা গেছে তেমনি এ তালিকায় একজন মৃত আরেকজন ভারতীয়র নাম রয়েছে। এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ধর্মভীরু মুসলমান ও দেশের প্রখ্যাত আলেম সমাজ।
আমি গণকমিশন কতৃক আলেম সমাজকে দেওয়া অন্য বিশেষণ নিয়ে কোন মন্তব্য না করে শুধু মাত্র ধর্ম ব্যবসায়ী নিয়ে আলোকপাত করছি। ব্যবসায় এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড। বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন ও লাভের উদ্দেশ্যে মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যই ব্যবসায়। বক্তিগত এবং জাগতিক লাভের জন্য যারা ধর্মকে পুঁজি কবে তারাই ধর্ম ব্যবসায়ী। তালিকায় যাদের নাম এসেছে তারা কি সবাই ধর্ম ব্যবসায়ী? নাকি বিনা লাভে শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি ও তাঁর বাণী প্রচারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন? তবে কোন কোন আলেম ওলামারা যে জাগতিক ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবার জন্য যে ধর্মকে ব্যভহার করেন না তা নয়। তবে মুষ্টিগত কয়েক জনের জন্য আলেম সম্প্রদায়ের উপর কালিমা লেপন যুক্তিযুক্ত নয়।
একজন শিক্ষকের ভুল ধরতে হলে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের প্রযোজন, তেমনি একজন ডাক্তারের ভুল ধরতে হলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের দরকার। আমার মতো নাদান যদি ডাক্তারের ভুল ধরে তা হলে রোগী আয়ু থাকতেই পরকালের জগতের যাত্রী হতে সাধ্য । একজন মুফতি বা মাওলানার দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করা একজন বিজ্ঞ আলেম বা হাদিস বিশারদের পক্ষেই সম্ভব। আমাদের দেশে অনেক নামী দামী ও বিজ্ঞ আলেম আছেন, তা ছাড়াও আছে ধর্ম মন্ত্রানালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন যেখানে অনেক বিজ্ঞ আলেমদের পদচারণা আছে। তাদের যদি এই তালিকা প্রণয়ন করা হতো তা হলে হয়ত এমন বিতর্ক হতোনা। কিন্তু যারা এই তালিকা প্রস্তুত করেছেন তাদেরকি সে যোগ্যতা রয়েছে বলে আপনার ধারণা? উত্তর যদি না হয় তবে নতুন করে কেনো এই বিতর্ক? ঘর পোড়ায়ে আলু পোড়া খেতে চাওয়া কেনো? আর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তা হলে মন্ত্রনালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডশনের কাজটা কি?
খবরের সুত্রঃ ১ম প্যারায় উল্লেখ করা হয়েছে
প্রকাশকালঃ ২১ মে ২০২২ ইং
© নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪