আজ রমজান মাসের শেষ দিন। আগামী কাল ১লা সওয়াল পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে গিয়েছিলাম গরুর গোস্ত কিনতে। দোকানী দাম চা্ইলো প্রতি কেজি ৬২০ টাকা। একটু বেশী মনে হলো আমার কাছে; কিন্তু উপায় কি? একটু সামনে বাড়লাম। এখানে গরু জবাই হয়েছে ভাগে বিক্রি হবে। ভাগা ১.০০০/= টাকা। তবে তখনো ভাগের কাজ সম্পন্ন হয়নি। জিজ্ঞাসা করলাম ভাগে কতটুকু হতে পারে? মহাজন বললেন ১ কেজি ৭৫০ বা ১ কেজি ৮০০ গ্রাম হতে পারে। হিসাব করে দেখলাম বাজারের কসাইয়ের গোস্ত থেকে এটা লাভজনক হবে। কসাই গরুর সব অংশের গোস্ত দিবেনা এবং এককেজি গোস্তে ২৫০ গ্রাম হাড্ডি ধরিয়ে দিবে। পক্ষান্তরে ভাগা গোস্তে মাত্র ১২৫ গ্রাম হাড্ডি!! তা ছাড়া ভাগা কিনলে গরুর সমস্ত বডির গোস্ত যেমন, কলিজা গিলা. সিনা, পুট ইত্যাদি সবখানের গোস্ত পাওয়া যাবে। লাভবৈকি!!
অপেক্ষার পালা শেষে ১,০০০ টাকার বিনিময়ে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম গোস্ত নিয়ে খুশি মনে অন্যান্য বাজার করার জন্য কাঁচা বাজারে ঢুকলাম। ৩০ টাকার গাজর ১২০ টাকা আর ২০ টাকার টমেটো ৬০ টাকায় কিনতে বাধ্য হলা। হাজার শুকরিয়া ২ দিন আগে শশা ২ কেজি ৩০ টাকায় কিনে ছিলাম তা না হলে আজ ৬০ টাকা করে কেজি কিনতে হতো। যাহোক বাজার করার সময় মাথায় সুবুদ্ধি বা দূর্বুদ্ধি যাই বলুন এক পরিচিত দোকানে গোস্তের পোটলা ওজন করলাম। ওমা ২কেজি গোস্ত !!! যেখান থেকে গোস্ত কিনলাম তারা ওজন করে দিলো ১কেজি ৮০০ গাম আর এখানে ২০০ গ্রাম বেশী !! বিষয়টা চিন্তার তাইনা? মনের সন্ধেহ দূর করার জন্য যেখান থেকে মুরগী কিনি সেখানে আবার ওজন দিলাম। মাথা নষ্ট হবার যোগাড়! এখানে গোস্তের ওজন ১ কেজি ৮১০ গ্রাম!! তা হলে কি গরুর মহাজন ওজনে বেশী দিলো নাকি যাদের কাছ থেকে আমি সবসময় মুরগী/তরকারী কিনি তারা সব সময় কেজিতে ১০০ গ্রাম কম দেয়?,যদি তাই হয় তা হলে প্রতিমাসে আমার পরিচিত দোকানীরা আমাকে কত টাকা ঠকায়? হিসাবটা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
বিঃদ্রঃ সব হিসাব ডিজিটাল মাপক যন্ত্রের
উৎসর্গঃ অত্র লেখা্টি প্রিয় সহব্লগার সাইন বোর্ড ভাইকে উৎসর্গ করা হলে। লেখাটি তার গরুর ভাগার অনুপ্রেরণায় লিখিত হলো!
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল

nuru.etv.news@gmail.com
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩২