মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,
আমি তোমাদেরই লোক,
বাংলা সাহিত্যের দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার ও দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের লোক। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। রবীন্দ্রনাথের হাতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, শিল্পকলা ও শিল্প চেতনা নতুনভাবে ও নতুনরূপে বিকশিত হয়েছে। বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি বিশ্বকবি ও কবিগুরু হিসেবে সম্মানিত ও খ্যাত। স্বদেশের অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ছাড়িয়ে বিশ্বমাঝে তিনি ছড়িয়ে গেছেন তার জাদুর পরশ। রবীন্দ্রনাথ মানেই গল্প, গান কবিতা, যা সব বাঁধনের সীমা অতিক্রম করে গেছে। পড়লেই মন জুড়িয়ে যায়। শুনলেই মুগ্ধ হয়ে যায় মন। তিনি আছেন গানে, কবিতার আড্ডায়, গল্পের উপমায়। ছবির ক্যানভাসে। তাকে ছাড়া ছোটগল্প, কবিতা, গান কল্পনা করা যায় না। কোথায় নেই তিনি? সবুজের মাঠ পেরিয়ে গোধূলি বিকেল। টাপুর টাপুর বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা। বৃক্ষের সজীবতায়। আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে। সবখানেই তার বিচরণ। তার লেখনীতে উঠে এসেছে প্রত্যাশা, হতাশা, বিচ্ছিন্নতা, বৈরাগ্য। তার কবিতায় প্রেম বিবৃত হয়েছে সার্থকভাবে। উপমা ও চিত্রকল্পে তিনি প্রকৃতিনির্ভর উপাদান জীবনকেন্দ্রিক ছবি তুলে ধরেছেন এবং দেশপ্রেম তার কবিতায় অন্যতম উপাদান। আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী। তিনি ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ তৎকালীণ ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার জোড়াসাঁকোতে ধনাঢ্য ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে ফুলেল শুভেচ্ছা। কবিগুরু সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করতে পারেন এখানে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩১