বিএনপির লোকজন আকাশে চাঁদ দেখতে পাচ্ছে।
বিএনপির মির্জা সাহেব ও মির্জা আব্বাস বলছেন তারা অচিরেই এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সুশাসন কায়েম করবেন। বিএনপি সুশাসনের সংজ্ঞা দিলে সেটা আপনি গ্রহন করবেন? তাদের সুশাসনের নমুনা এখনো আপনার চোখে ও মগজে থাকার কথা। ঐ ধরনের সুশাসন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আপনি কি সমর্থন করবেন! আমাদের মত গরীব দেশে সুশাসনের সংজ্ঞা এসে পাল্টে যায়। এখানকার রাজনীতিবিদদের কথা শুনে জনগন পঙ্গপালের মত হিপনোটাইজ হয়ে দৌড়াতে শুরু করে। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর সব নীতি কথা, ভালো চিন্তা ধারনা সে কাগজে, ফেইসবুকে, ইউটিউবেই পড়ে থাকে! মানুষ কি এখন তারেক জিয়া ও মির্জা সাহেবের কথায় হিপনোটাইজ হয়ে পড়ছে! আমার তো এখনো সে ধরনের কিছু মনে হচ্ছে না। আওমীলীগ ও শেখ হাসিনার উপর বিরক্ত হয়ে মানুষ মির্জা সাহেব ও তারেক জিয়ার কথা কিছুটা শুনার চেষ্টা করছে।
এই শুনার চেষ্টাটা তাদের মাথা খাটিয়ে ও সঠিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ধরে রাখতে হবে। যদিও আমি নিশ্চিত তারা এটা পারবে না। ইতিমধ্যেই তারা শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে অপ্রয়োজীয় কথা বেশি বলে ফেলেছে। তাছাড়া শেখ হাসিনা গত পরশু সংবাদ সন্মেলনে বলেছে “বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের সকল রাজৈতিক দলের চিন্তা একই”। এই কথা দিয়ে শেখ হাসিনা বিএনপিকে সুস্পষ্ট একটা ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছে। অর্থাৎ ভারত ইস্যু নিয়ে বিএনপির এখন কোনো সুবিদা নেওয়া সম্ভব নয়।
আওমীলীগ তথা শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনেক গুলো কারন আছে। তবে বিএনপি'র নীতিনির্ধরকরা সেগুলো সঠিক পন্থায় মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে পারছে না। তাদের এখন একটাই কথা আওমীলীগ সরকারকে সরাতে হবে, তার পর বাকি সবকিছু। কিন্তু আওমীলীগকে সরিয়ে তারা ক্ষমতায় বসে কি করবে! যে লাউ সেই কদু হওয়ার সম্ভবনা কিন্তু থেকেই যায়। সেটা হলেতো মানুষের দুর্ভোগ আগের চেয়েও বাড়বে। বেশিরভাগ মানুষ পরিবর্তন চায় এটা সত্যি, সাথেসাথে সেই পরিবর্তিত জায়গায় বিএনপিকে বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারছেনা। বিএনপি নামের সাথে সেই, ১৭ই আগস্ট, ২১ই আগস্ট, দশ ট্রাক অস্ত্র, উলফা, জেএমবি এসব চলে আসে। এগুলো বিএনপির নামের মাঝে একপ্রকার সাথে মিশে গেছে।
যেমনটি আওমীলীগের নামের সাথে মিশে গেছে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক, গুম, রিজার্ভ চুরি, হেফাজতে ইসলাম এই রকম আরো বেশ কিছু বিষয়। এখন বিএনপি যে একদফা এক দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে এটার দরকার আছে, তবে এর সাথেসাথে তাদের পিছনে কেনো সাধারণ মানুষ দাড়াবে তার উপযুক্ত কারণ তাদেরই পরিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় যে লাউ সেই কদু ভাবনা মানুষের মন থেকে সরবে না। এরমধ্যে সবচেয়ে জরুরি বিষয় জামাত-শিবির নিয়ে তাদের ভাবনা কি সেটা পরিষ্কার করা। এই বিষয়টি এখনো তারা ধোঁয়াশার মাঝে রেখে দিয়েছে। অথচ এটাই এখন তাদের আন্দোলন ফলপ্রসূ হওয়ার এক্স ফ্যাক্টর!
যাইহোক সাধারণ মানুষ একটি সঠিক সুন্দর নির্বাচন চায়। এই বিষয়টা ক্ষমতাসীন আওমীলীগকেই নিশ্চিত করতে হবে। মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। সঠিক ও সুন্দর ভোট হলে হয়তো আওমীলীগ জয়ী হবে না তবে অন্য যেসব বার তারা পরাজিত হয়ছে তার চেয়ে বেশি ভোট ও আসন পাবে। আর বিএনপি যদি জয়ী হয় সেটা আওমীলীগের উপর বিরক্ত হওয়ার জন্য হবে, তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও জনপ্রিয়তার জন্য নয়। যার ফলাফল দেশের জন্য খুব বেশি ভালো হবে বলে মনে হওয়ার কোনো কারন নেই! যে লাউ সে কদু নিয়েই দেশ চলতে থাকবে!
শুধু হাসান মাহমুদের জায়গায় রিজভী সাহেব, ওবায়দুল কাদেরের জায়গায় মির্জা সাহেব কিংবা সালমান রহমানের জায়গায় ফালু বসবেন
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮