৭৩ বছর সময়ের হিসেবে অনেক বিশাল সময়। বাংগালীদের প্রথম বড় রাজনৈতিক দলের আজ জন্মদিন। প্রতিষ্ঠার অল্প কিছু সময়ের ভিতরেই কোয়ালিশন করে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দলের বিপক্ষে নির্বাচনে জয়লাভ করে। বাংগালীরা এই দলটিকে ভালোবাসতো, এই দলের নেতাদের ডাকে ছুটে আসতো, কি বলতো মনোযোগ দিয়ে শুনতো, কিছু না বুঝলেও ভেবে নিতো যা বলছে আমাদের ভালোর জন্যই বলছে। মাওলানা সাহেব রাগটাগ করে এই দলটিকে ছেড়ে চলে গেলেও মানুষ এই দলটির উপর আস্থা হারায়নি। ৭৩ পর্যন্ত এই দলটির ধারেকাছে কোন দল দাঁড়াতে পারেনি।
শেখ মুজিবকে হত্যা করার সাথেসাথে এই দলটির সমর্থকরা কি উদাও হয়ে যায়? না, এই দলটির সমর্থকরা কখনো উদাও হয়ে যায়নি! অবস্থার প্রেক্ষিতে নীরব হয়ে পড়েছে। নেতারা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে লেগে গিয়েছে কিন্তু কর্মীরা,সাধারণ মানুষেরা নীরবে চোখের জল ফেলেছে।
দলটিকে একেবারে নির্মূল করে ফেলতে চেয়েছিল আমাদের সেনা ছাউনির মেজর, ল্যাপ্টেনেন্ট, কর্নেলরা কিন্তু পারেনি, সাময়িক চাপা দিয়ে রেখেছিল।
শেখ হাসিনা এসেছেন, কেঁদেছেন, সাধারণ মানুষও তার সাথে কেঁদেছে। এখন শেখ হাসিনা কাঁদেননা কিন্তু সাধারণ মানুষ কাঁদে। মানুষের দুই মুঠো অন্নের ব্যবস্থা হয়েছে কিন্তু নিরাপত্তা হয়নি। মানুষের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে, কিন্তু সে ঘরে বউ, বাচ্চা রেখে ট্রলারে করে সাগর পাড়ি দিচ্ছে রোজগারের জন্য। বাচ্চারা স্কুল,কলেজে যাচ্ছে কিন্তু পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছে। দেশে কাজ হচ্ছে সেই কাজে লুটপাট হচ্ছে। অতীতের যেকোন সময় থেকে এখন শেখ হাসিনার আওমীলীগ অনেক শক্ত অবস্থানে। চাইলে এই আওমীলীগ অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। দেশের বড় বড় সমস্যা গুলোর সমাধান হয়েছে এই আওমীলীগের হাত ধরেই।
আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওমীলীগ প্রতিজ্ঞা করেছে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার। এমন প্রতিজ্ঞা আওমীলীগ ৯১,৯৬,২০০৮,২০১৮তেও নিয়েছিল আজও নিয়েছে। এই প্রতিজ্ঞার বাস্তবায়ন আওমীলীগ আরো আগেই করতে পারতো যদি না আওমীলীগ দুষ্টব্যবসায়ীর দল হয়ে না পড়তো!
এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একটাই চাওয়া গণমানুষের দলটি দুষ্ট ব্যবসায়ীর রাহু মুক্ত হোক, দলটি হয়ে উঠুক সত্যিকারের রাজনৈতিক দল।
Power Politics
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৭