প্রিয় দেশবাসী ও আমার সামনে সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আপনার আমার এই প্রিয় স্বদেশ আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? দেশের আজ বর্তমান অবস্থান নিয়ে আপনি কতটুকু সন্তুষ্ট? আপনার নাগরিক অধিকার সমূহ আপনি সঠিকভাবে সঠিক পন্থায় পাচ্ছেন? সরকারি সেবাসমূহ নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট আছেন? এই সরকারের সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর অনিয়ম আপনাকে ব্যথিত করে, কষ্ট দেয়? আমরা নিশ্চিত আমার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর নিশ্চিত ভাবেই এই আওমীলীগ সরকারের বিপক্ষে যাবে। অনেক দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছে এই সরকার কিন্তু আপনি একটু এনালাইসিস করলেই বুঝতে পারবেন এগুলোর বেশিরভাগই টেকসই ও সুষম উন্নয়নের মাঝে পড়বে না। অপরিকল্পিত উন্নয়ন করেছে এই সরকার যার ধরুন বলা যায় দেশের টাকার অপচয় হয়েছে।
প্রিয় দেশবাসী শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান প্রায় ৪হাজার ডলার যে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল, সে দেশ এখন ঋণখেলাপি! বৈদেশিক ঋনে বড়বড় প্রকল্প আবার সে প্রকল্পে ওভার ইনভয়েস করে দুর্নীতি করেছে, পরিবারতন্ত্র দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনা করার কারনে বলা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার এমন পরিণতি। এমন কিছু কি আপনি এদেশে দেখতে পাচ্ছেন? আমার বিশ্বাস আপনি খালি চোখেই তা দেখতে পাচ্ছেন!
প্রিয় দেশবাসী আমাদের প্রিয় স্বদেশ যে খুব শিগ্রহী শ্রীলঙ্কার মত হবে আমরা তা বলছি না কিংবা এমন চিন্তা আমাদের মাথাও আনছি না। তবে শ্রীলঙ্কার মত হওয়ার জন্য অনেক গুলো ভুল এই আওমীলীগ সরকার করছে এবং কতক করতে যাচ্ছে! আর এখানেই জাতীয়তাবাদী বিএনপির ভয় পাচ্ছে! এই যে রাশিয়া থেকে ১৩বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে মাত্র ২৪০০ মেগাওয়াট পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করলো ২০২৫ সাল থেকে এর কিস্তি দেওয়া শুরু হবে। বছরে ৫৬৫মিলিয়ন ডলার করে কিস্তি দিতে হবে। পদ্মা সেতুর সাথে পরবর্তীতে যে রেইল লাইন যোগ করলো ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে এটা থেকে যে আউটফুট আসবে সেটা দিয়ে কখনোই কিস্তি শোধ করতে পারবে না।
এই সব কিছুর পুঙ্ক্ষানুপঙ্খ বিশ্লেষণ আমাদের ওয়েবসাইটে গেলেই পাবেন। হিসেব দেখে আপনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এতে কত বিশাল ওভার ইনভয়েস হয়েছে। এবং এর কাজ যারা পাচ্ছে তারা সঠিক পন্থায় পায়নি। বাংলাদেশ, চীন, ভারত আর মায়ানমার মিলে যে ইকোনমিক করিডোর করার কথা ছিল সেখান থেকে আপনারা দেখেছেন ভারত বের হয়ে গেছে যার ধরুন এই প্রজেক্ট এখন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। কিন্তু এই আওমীলীগ সরকার এডিবি থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা নিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেইল লাইন করে যাচ্ছে! এই রেইল থেকে প্রাপ্ত আয় থেকে কখনোই ঋণ শোধ করা যাবে না।
পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর করার কথা বলে সেখানে অলরেডি কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে ফেলা হয়েছে। এখন বলছে সেটা গভীর সমুদ্র বন্দর হবে না, হবে সমুদ্র বন্দর! যদি সমুদ্র বন্দরই হয় তাহলে এত টাকা খরচ করার কি দরকার ছিল? যে টাকা খরচ করা হয়েছে সেটা দিয়ে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ করা যেত। একটার পর একটা বড়বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে এগুলোর কোনোটির সঠিকভাবে ইকনোমিক ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়নি। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে দ্বিতীয় পদ্মাসেতুর কথা, দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ঢাকাকে পূর্বাচলে সরিয়ে নেওয়া, কক্সবাজার পর্যন্ত বুলেট ট্রেন, নতুন আরেকটি বিমানবন্দর! এগুলো আমাদের জন্য এখন সত্যিই অপ্রয়জনীয় প্রকল্প! এমনিতেই আগামী ২৫ সালের ভিতর আমাদের বৈদেশিক ঋণের কিস্তির পরিমান দাঁড়াবে ৪বিলিয়ন ডলার। তারমধ্যে এসব প্রকল্প হাতে নিলে সেটা ৬বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে!
এইতো গেলো বৈদেশিক ঋণের হিসেব দেশীয় ঋণ যোগ করলে আমাদের জিডিপি'র প্রায় ৬০% এর মত হবে যা সত্যি বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি করবে! এই সরকারের এই অপরিকল্পিত প্রকল্প গুলো আমাকে আপনাকে নিশ্চিত ভাবেই নিকট ভবিষ্যতে বিপদে ফেলতে যাচ্ছে যার জন্যই আপনাদের সামনে আজ এই ডাটা গুলো দেওয়া।
আপনারা আমাদের দলীয় ওয়েবসাইটে যান অথবা লিফলেট গুলো পড়ুন, এনালাইসিস করুন আমাদের কথার সত্যতা অবশ্যই পাবেন। আপনাদেরকে অর্থনৈতিক সচেতন হতে হবে এবং এই আওমীলীগ সরকারের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের নামে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনার এসবের খোঁজ রাখুন পত্রিকার প্রথম পাতায় স্থান দিন, চ্যানেলের প্রধান শিরোনামে রাখুন। অতিস্বত্তর জনগণের মৌলিক অধিকার ও আমাদের দলের গনতন্ত্র চর্চার আধুনিক কৌশল নিয়ে আরেকটি সংবাদ সম্মেলন হবে তাতে আপনারা আমন্ত্রিত হবেন নিশ্চই।
সবাইকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
বিঃদ্রঃ সংবাদ সম্মেলনটি কাল্পনিক।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬