ওই যে দীঘি; যার জলে শরীর ছুঁইতে গিয়ে কথা বলতে শিখেছিলে একবার,
ওই সেই মেঘ; রোদের তা-ব ভুলে যার বক্কে আশ্রয় নিয়েছিলে বারবার,
সেই মেঘ আর দীঘিতে উড়াল দেয়ার আগে রাতের খবর কতটুকু জানতে তুমি?
দূরন্ত কৈশোরের পেখম মেলে উদ্বেগ ঘরে ফেরার স্বর্গময় আলিঙ্গন
জোছনার বিপরীত সভ্যতার নিরাপদ ভালোবাসা ‘বাপ বেড়ে ওঠো’,
যেই দিঘীর জলে যেন কোনভাবেই কুৎসিত অপরাধ ধরা পরেনি কখনো।
তুমি কি জানতে ‘বেহুলার হুশ’ হলে ‘কৃর্তন চরের কৃষক’ ছুটে যেত মাঠে
শূন্য প্রাপ্তির শ্রমিক মুমূর্ষ মানুষের কপালে হাত রেখে শুনাতো ‘মানবিক জয়ের গান’,
সেই মেঘের প্রাপ্তিতে কি ছিল; কি ছিল না তার সমীকরণ তৈরী হয়নি আজো।
‘অসহ্য প্লাবণে’ ভেসে যাওয়া আর্তনাদ শুনতে গিয়ে বিস্মৃতির নগরে তুমি
একান্ত অবসরে চিহ্নহীন ইতিহাস পাঠে ব্যস্ত পাঠক ‘নাগরিক সুশীল’ হয়ে
রক্তের চাপ আড়ালে রেখে তুমিও কি ভুলে গেছে সেই মেঘ-দিঘীর প্রণয়,
না কি সব ঋণের দায়ে তিলে-তিলে এঁকে দাও বেদনার পাহাড় সম যুদ্ধ?
তুমি কি সঙ্গম গ্রামের ‘উজ্জ্বল কাকলি’; বিমোহিত শয়নের ¯œানরত স্বপ্ন
না কি ওই সব পুরানো পাপ সমর্পণের পূর্বে শর্তহীন সমঝোতার শব্দ।
ওই দিঘী আর মেঘে উড়াল দেয়ার বেগে যাচ্ছি সদূর স্মৃতির নগরে
ওখানে দিঘীতে স্বচ্ছ জলের ধারা মেঘে-মেঘে শুভ্রতার ¯্রােত নন্দন
নত হোক মাথা নতজানু বেশি; দু:খও ভুলে যাবে যান্ত্রিক শহরে।