ওই চোখের গহীন সমিকরণ কি হতে পারে বন্ধু
কি এমন বিমুগ্ধ বৃষ্টি ছোঁয়েছে তোমার পাপড়ি যুগল,
তুমি কি সেই চোখের সীমান্ত
যা দিয়ে তৈরী করো দুই রাষ্ট্রের দূরত্ব,
তোমার চোখ কি নদী-মনের বিভাজিত যন্ত্র
না কি তুমিও সেই জাল্লাদ ওইপারের ‘নাসাকা’?
এমন উদ্ভুত চোখ তোমার; এক-একটি দৃষ্টিতে
বাল্যকাল থেকে অদ্যবধি গ্রাস করলে কেবল
কেবল জ্বালিয়ে-পুঁড়িয়ে হত্যা করলে জীবন্ত বোধ,
এমন চোখ তো আর চোখ হতে পারে না বন্ধু
যে চোখের আয়নায় তাকিয়ে জোছনা দেখাও
ওই চোখেই কিভাবে গ্রীষ্মের রোদ আঁকো?
ওই চোখ কেবল রাখতে পারো জোছনার ছায়া
বৃষ্টির আড়ালে পরিপাটি মায়ার আশ্রম করতে পারো,
ওখানে আশ্রয় নেবে বাল্যতার শীতল বিকেল।