দিগন্তের মিছে মায়া ভুল পথের চিহ্ন কোলাহল মুক্ত বিকেল
শৈশব নি:সঙ্গতার দুপুরে বিকল্প চাঁদের আলোর লুকোচুরি
সীমানাহীন দূরের ভোরে যেতে যেতে একবার দাঁড়িয়ে দেখি
কৈশোরের ধূলোয় তারুণ্যের উদ্দীপনা জাগিয়ে উড়ছে
উষ্ণতার কাঁকড়া এক মুঠো রোদ আর জোছনার প্রলোভন,
সেই স্কুল পালাতক বালকটির স্বপ্নও একদিন উড়তে দেখি
হলুদ পোষাকের স্কুল বালিকার হাতে স্বযত্নের ধুসর ডাইরীতে,
জ্যামিতি বক্সের নিচে পাখির ডানার মতো ফুল-পাঁপড়ি
বিছানার চাদরে আটকে থাকা পুরাতন মৌমাছির ঝাঁক
ঘুরতে ঘুরতে উড়ে যেতে দেখেছি অনেক বছর আগে।
এরপর থেকে সখের পুতুল কথা বলতে শুরু করে
“পরানের পিঞ্জরে আটকে রাইবা কয়ে পালালে সখি
তোরে কহনো কই নই ক্যান দূরে রাখলি মন
ক্যান তুঁই এতটা পাষাণ হলি নিজের মত,
ক্যান কথা দিয়ে কথা রাখলি না আর
বললি না দূর-দূর করে তাড়িয়ে দেয়ার কথাও,
আমি তোরে আর কই না ক্যান আমি এমোন হলাম
আবোল তাবোল জীবন ভিন্ন গ্রহের জন্তু
আমারে তাড়া করে ক্যান হোদায় হোদায়,
তারপরও তুঁই ক্যান জানতে চাইলি কেমন আছি
বুঝি না আমারে জ্বালাইয়া তুঁই এত মজা পাস ক্যান
অইচে অইচে আর অইন জ্বালাইস না মনে ভেতর
পুঁড়ে পুড়ে কয়লা হয়ে আছি বহুত আগে থেকে।”
এভাবে জমা হয় মিশ্রিত ভাষার স্মৃতি উজান হাওয়া
‘প্রিয় বোকা ছেলে’টির উড়ে যাওয়ার গল্প সমুহ।