লাইনচ্যুত নাকের ডগায় শিশির পতন শব্দ ধোঁয়াটে গন্ধ
ক্রমাগত ঘূর্ণায়ন আঙ্গুলের চলন্ত বেগ একবার মুখস্ত করি
লুঙ্গি ধসে পড়ার আগে কোমরের গামছায় শক্ত গিট্টু দিয়ে
দৌঁড় দিই খালের পশ্চিমে; ওখানে বসে থাকে ‘ফাতেমা ফুপি’,
বর্ষিতে কেঁচো দিয়ে মাছ ধরার কৌশল রপ্ত হলে
কচুরিপনার ভেতর তেলাপিয়া খুঁজে নেয়ার প্রলোভন বাড়ে
বর্ষির আগায় একে একে চল্লিশটি উঠে এলে
বাঁশের ঝুঁলিতে ভরে ডাক দিই ‘লাইলা বিবি নিয়ে যা”।
ডান হাত বাম পাশের বুকে রেখে সরু সরু পাঁজর পথে
চলতে দিয়েছি করুণার ট্রেন তাকে থামিয়ে দিও না আর
তেলাপিয়ার রসাভুনা ঠোঁটে নেয়ার আগেই থেমে যাবে জীবন,
মাথায় হাত রেখে পূর্বের দরোজায় বসে বাড়বে বিলাপ
“ননাই রে আমারে একা রেখে যাস না পরের ঘরে
য়ৌবনের আঁচল দিয়ে বাঁধিস না ফাজিল বজ্জাত রে
দুখের জ্বালা সইবে না আর মরা মুখ দেখবি আমার”।