ঘাটু গান বাংলাদেশের হাওড় অঞ্চলের একটি বিলুপ্ত প্রায় পল্লী সংগীত বিশেষ। ঘাটে নৌকা ভিড়িয়ে এই গান গওয়া হয় বলে, একে ঘাটু গান বলে (অনেকে 'ঘাটের গান'-ও বলে)। ঘাটু গানের প্রচলন হয়, ষোড়শ শতকের শেষের দিকে। ঘাটু গানে ছেলেশিশুদের মেয়ে(রাধার সখী) সাজিয়ে নেচে নেচে বিরহ সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অঞ্চলভেদে ‘ঘাটু’ শব্দটির উচ্চারণগত ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এই শব্দটি "ঘাঁটু", "ঘেটু", "ঘেঁটু", "গেন্টু", "ঘাডু","গাড়ু", "গাঁটু", "গাডু" প্রভৃতি বলা হয়। যেমন: নেত্রকোনা অঞ্চলে এটি ‘গাডু’ নামেই পরিচিত, তবে শিক্ষিতজনরা ‘ঘাটু’ বলেন; আবার, সুনামগঞ্জ অঞ্চলে একে ‘ঘাডু’ বলে।
ঘাটু গানের বিশেষত্বঃ
১. বালকদের পরিবেশনা: নারীবেশে সুদর্শী কিশোর বালক নৃত্যকরে ঘাটু গান পরিবেশন করে।
২. বংশ পরস্পরার পরিবেশকঃ এই গানের শিল্পীরা বংশ-পরম্পরায় ঘাটু গান গেয়ে থাকে।
৩. বর্ষাকালীন পরিবেশনাঃ এই গান বর্ষাকালে পরিবেশন করা হয়।
৪. নৌকা সংশ্লিষ্ট পরিবেশনাঃ এই গানের আসর নৌকায় বসতো।
ঘেটু পুত্র কমলা(২০১২) সিনেমার একটি দৃশ্য। সিনেমার কিছু গান শুনেনঃ
গান: শুয়া উড়িল রে
গীতিকারঃ শীতালং শাহ
সুরকারঃ রাম কানাই দাস
শিল্পীঃ ফজলুর রহমান বাবু + শফি মণ্ডল/ প্রান্তি
শুয়া উড়িল উড়িল জীবেরও জীবন
শুয়া উড়িল উড়িল রে,
আরলাম আকানে ছিলা আনন্দিত মন
ভবে আসি পিঞ্জরাতে হইলা বন্ধন।(ঐ)
নিদয়া নিষ্ঠুর পাখি দয়া নাই রে তোর
পাষাণ সমান হিয়া কঠিন অন্তর......
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
শিরোনামঃ বাজে বংশী
কন্ঠঃ ফজলুল রহমান বাবু/শফি মন্ডল
কথাঃ হুমায়ূন আহমেদ
সুরঃ এস আই টুটুল
বাজে বংশী রাজহংসী নাচে
দুলিয়া দুলিয়া,
নাচে পেখমও মেলিয়া।।
ঝুমুর ঝুমুর ঝুমুর ঝুমুর
ঝুমুর ঝুমুর ঝুম।(২)
রাজহংসীর চোখ কালো
তারে দেখে লাগলো ভালো,
সেই বিহনে জগৎ কালো সবই অন্ধকার
তার নাচে ভূবণ নাচে আহা! কি বাহার......ঐ
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসুনঃ অনন্ত আরেফিন এর বাংলা ব্লগ থেকে।।
(আসলে গানের কথাগুলো কঠিন মনে হলেও, সঠিক সুর, তাল, লয়ে শুনলে এগুলো অমৃত মনে হয়।)
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।(আংশিক কপি-পেষ্ট)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪