[ বিভিন্ন স্বার্থান্ধ মহলের সাম্প্রদায়িক আন্দোলন এবং আমাদেরকে শরীক হওয়ার আহ্বানের প্রেক্ষিতে আমার প্রতিউত্তর ]
পৃথিবীজুড়ে ভাষার ব্যবহারকারীদের তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে :
১ম পর্যায় (কাক): এই পর্যায়ের প্রানী "নিউরোস্যান্সরী অর্গান"-এর মাধ্যমে ভাব বিনিময় করে থাকে। এরা শব্দের উপর কোন অর্থ আরোপ করে না। শব্দের কম্পন তারতম্য ভেদে এরা সাড়া দেয় এবং একটি বিশেষ কম্পনমাত্রার শব্দের জন্য প্রত্যেকে একই প্রতিক্রিয়া দেখায়।
২য় পর্যায় (কুকুর): এই পর্যায়ের প্রানী শব্দের সাথে অর্থ ব্যবহার করে কিন্তু নিজ থেকে শব্দের উপর অর্থ আরোপ করতে পারে না। বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপাদকের কাছ থেকে অর্থ বুঝে নেয় এবং এদের কাছে একটি শব্দের একটি মাত্র অর্থই হয়ে থাকে।
৩য় পর্যায় (মানুষ): এরা নিজের ইচ্ছামত শব্দের উপর অর্থ প্রয়োগ করতে পারে। শব্দের স্থান, কাল, মাত্রা বুঝে এরা অর্থ ভান্ডার পূর্ন করে। নিজের Experience ভান্ডার ব্যবহার করে এরা সৃষ্টিশীল কাজকর্মে পারদর্শী।
প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে এক পর্যায়ের প্রানী অন্য পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারে না। একমাত্র ব্যতীক্রম হচ্ছে মানুষ। মানুষের মধ্যে দূর্লভ এক প্রজাতি আছে যারা ২য় পর্যায়ের প্রাণীর মত আচরন করে থাকে। ব্লগে লাখালেখি তাদের কর্ম নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২৬