আমার ক্লাস এ্যাসাইনমেন্ট সাবমিট করতে হবে কাল। ম্যাডাম বলেদিয়েছেন মোর দ্যান ১৫০০ ওয়ার্ডস। লিখতে হবে "LDC-র বিদেশী সাহায্য নির্ভরতা এবং এর কার্যকারীতা"-র উপর।
প্রথম থেকেই ভেবেছিলাম এইবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে তুলোধুনো করব এবং যথারীতি ধরা খেয়েছি।
একদিকে তথ্য প্রমান আর একদিকে আমার ক্রোধ.. মাঝখান থেকে সময় নষ্ট ২ সপ্তাহ।
অবশ্যই বিদেশী সাহায্য বেশী হলে মানুষ কুড়ে হয়ে যায়, দেশের উৎপাদনশীলতা কমে যায়- কিন্তু দেশের রপ্তনীর চেয়ে আমদানী বেশী হলে আমাদের আর কিই-বা করার থাকে। আমাদের গার্মেন্টস ওয়ার্কার কিংবা বিদেশে খেটে খাওয়া শ্রমিক যে সাপোর্ট দিচ্ছে, তার চেয়ে বেশি আমরা নষ্ট করছি গাড়ি কিনে, ল্যাপটপ কিনে। ৩০,০০০ টাকা বেতন হলেই আমরা ব্যাংক লোন নিয়ে গাড়ি কিনবো, অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বাড়িয়ে Inflation হার দুই ডিজিটের করব।আমাদের তো ঋণ নিতেই হবে।
একটি দক্ষ প্রশাসন এবং যুগোপযোগী পরিকল্পনা দৃশ্যপট পরিবর্তন করে দিতে পারে। আমরা কোন শর্ত মেনে সাহায্য মেনে নেব সেটা অবশ্যই আমাদের ব্যাপার। আমাদের দেশে বিদেশী সাহায্যের কতভাগই বা নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। গবেষনায় দেখা গেছে, জাপান থেকে সাহায্য নিলে তা দেশের অর্থনীতিকে দূর্বল করে দেয়। আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এখন পরিকল্পনা যোগান থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করছে- তারা মোটামুটি এরকমই বলছে, পরিকল্পনা আপনার, অর্থ আমার।
এদিকে বাংলাদেশ ঘোষনা দিয়ে দিয়েছে, ৩ বছরের মধ্যে বিদেশী সাহায্য নির্ভরতা নিয়ন্ত্রন করবে। তাহলে নিশ্চিত মানুষ সাতপুরুষের রাজনৈতিক ব্যবসা চালাতে আগ্রহ হারাবে- যা আমাদের দেশের জন্য অবাস্তব এবং অগ্রহন যোগ্য।
আর এদিকে আমি পড়ে গেছি গ্যাড়াকলে।