আমার কিছু সময় আছে জলের মত,
আর কিছু ছায়া,
বিস্মরণের আলো আঁধারে ঢাকা-
নিস্তব্ধ পরাক্রম নিশির মত,
আমার চারপাশ ঘিরে
মাতাল হয়ে ঘোরে কেবলই তার মদির চোখ
বিস্রস্ত গভীর মায়া।
আমার আকাশজুড়ে শুন্যতা,
আর পাতালে আছে বদ্ধ কিছু সুর
তার দিকভ্রান্ত তরঙ্গরা,
নিয়ত এক উদাস ছেলের মত
যাচ্ছে সরে বহুদূর-
সে পথ হারিয়ে শুন্য বায়ুমন্ডলে
আমায় পেছন ফিরে যদি ডাকে আর-
আমি অন্ধ বধির শুন্য কবেই হয়ে গেছি,
তার স্পর্শ-ক্লিশে হিমঘরের এই মগ্নতা আর
ভাঙ্গবে না আমার।
আমি আঁধার দেখি,বহু বহু যুগ ধরে
তাকে স্পর্শ করে জড়িয়ে ধরে রাখি
নির্ঘুমতার রাত্রি জাগার সহস্র দিন হলো
আমি তন্দ্রা ভুলে
আঁধার নিয়ে একলা জেগে থাকি।
তোমার তরঙ্গরা দিবানিশি ঘোরে
আমার বোধহীনতার স্তব্ধ মাতাল ঘরে-
আমি লুকোই তাদের পাতালপুরীর দেশে
আমার ঘুম আসেনা তবু রাত্রিশেষে-------